খুলনা বিএনপি কার্যালয়ে সোমবার এ প্রেস ব্রিফিংয়ে মঞ্জু বলেন, নির্বাচনে কোনো রকম ভোট ডাকাতির চেষ্টা করা হলে নেতা-কর্মীরা ঘরে বসে আঙুল চুষবে না। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনে তারা রক্ত এবং জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের অবৈধ প্রভাব, দাপট এবং বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা ও হুমকির প্রতিবাদ করেন মঞ্জু।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু ভোটের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, সিটির ১৫, ২৪, ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় তার দলীয় নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে; হয়রানি করছে। ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররাও অনেকের বাড়ি গিয়ে হামলা, ভাংচুর ও হুমকি প্রদর্শন করছে।
দেশের ১৬ কোটি মানুষসহ সারাবিশ্ব একটি জাতীয় নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায়।
তাই এই নির্বাচনে যদি ভোট ডাকাতি হয়, তাহলে বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে না বলে হুঁশিয়ার করেন মঞ্জু।
পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের তালিকা করে তাদের হয়রানি করছে অভিযোগ করে তিনি পুলিশকে কারো ব্যক্তিগত ইচ্ছা পূরণে ব্যবহার না হওয়ার অনুরোধ জানান।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই বিএনপির পক্ষ থেকে ৯ দফা সুপারিশ করে রিটার্নিং অফিসারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। পাঁচ থানার ওসিসহ দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের বদলির আবেদন করা হয়েছিল।
“কিন্তু একটি দফাও বাস্তবায়ন করেনি; যে কারণে এ নির্বাচন সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি বড় পরীক্ষা।”
সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তিনি সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করেন। দলীয় পুলিশ প্রশাসন দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না বলেও তিনি মনে করেন।
তিনি গণমাধ্যম কর্মীদেরও নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের অনুরোধ করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সভাপতি এস এম শফিকুল আলম মনা, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, সৈয়দা নার্গিস আলী, আমীর এজাজ খান, মীর কায়সেদ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।