শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা: মায়ের ‘প্রেমিক’ গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে শিশু হৃদয়কে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তার মায়ের কথিত প্রেমিককে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 April 2018, 05:28 PM
Updated : 22 April 2018, 05:29 PM

রোববার ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মেরাকোনা গ্রামে অভিযান চালিয়ে আড়াইহাজার থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

পরে রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে (৩২) আড়াইহাজার থানায় নিয়ে আসা হয় বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আড়াইহাজার থানার এসআই আবুল কাশেম।

গত ১২ এপ্রিল গভীর রাতে উচিৎপুরা ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়ায় বিছানায় আগুন দিয়ে ঘুমন্ত হৃদয়কে (৯) পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ওই সময় দগ্ধ হয় হৃদয়ের ছোট ভাই জিহাদ।

এসআই আবুল কাশেম জানান, হত্যাকাণ্ডের পর মামলার মূল আসামি রাশেদুল ইসলাম মোমেন পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ বিভিন্ন স্থনে অভিযান চালায়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার নান্দাইলেল মেরাকোনা গ্রামের মোসলেম উদ্দিন ফকিরের ঘর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মোসলেম উদ্দিন ফকির আসামি রাশেদুল ইসলাম মোমেনের দূর সম্পর্কের আত্মীয়।

দুপুরে মোমেনকে আড়াইহাজার থানায় আনলে শতশত লোক ভিড় জমায়। এ সময় তারা মোমেনের ফাঁসি দাবি করেন।

আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক বলেন, চাঞ্চল্যকর শিশু হৃদয়কে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তার মা ও তার প্রেমিক মোমেন দুজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

“সে প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে হত্যার সাথে জড়িত বলে তথ্য দিতে শুরু করেছে।”

এর আগে শেফালী আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।

হৃদয়ের বাবা ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেন বাহরাইন প্রবাসী।

এই ঘটনায় ১৩ এপ্রিল হৃদয়ের দাদা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে শেফালী বেগম ও রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে আসামি করে আড়াইহাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, তার ছেলের বউ শেফালীর সঙ্গে মোমেনের পরকীয়া প্রেম চলছিল। এই ঘটনায় এলাকায় কয়েকদফা বিচার সালিশও হয়। তার ছেলে আনোয়ার হোসেন শেফালী বেগমকে তালাকও দেন। পরে শেফালী নিজের ভুল স্বীকার করে ছেলে আনোয়ার হোসেনের হাতে-পায়ে ধরে পুনরায় সংসার শুরু করেন।