শিক্ষক নিয়োগ: প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে দুই জেলায় গ্রেপ্তার ২৯

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বরগুনা ও মাদারীপুরে ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মাদারীপুর প্রতিনিধিবরগুনা ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2018, 03:34 PM
Updated : 20 April 2018, 04:31 PM

শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থানে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

দুপুরে বরগুনা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গোপন সংবাদ পেয়ে গত তিনদিনে বরগুনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মাহবুব বিশ্বাস

“পুলিশ তাদের কাছ থেকে নগদ দুই লাখ ৫৮ হাজার টাকা, পরীক্ষার হলে উত্তর সরবরাহের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির সাতটি ডিভাইস ও পাঁচটি ছোট হিয়ারিং ডিভাইস, ২৩টি মোবাইল ফোন এবং ছয়টি প্রবেশপত্র উদ্ধার করেছে।” 

এদের মধ্যে হুমায়ূন কবীর প্রশ্ন ফাঁস চক্রের হোতা বলে জানান এসপি বসাক।

“শুক্রবার বেলা ১টার দিকে বরগুনা লঞ্চঘাট থেকে এ চক্রের হোতা হুমায়ূন কবীরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।”

হুমায়ুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা গবেষণা ইন্সটিউট (আইইআর) থেকে পাশ করে প্রথমে অগ্রণী ব্যাংকে ও পরে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনে চাকরি নেন বলে জানান এসপি বসাক।

হুমায়ুন পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের গাজিপুরা গ্রামের মৃত শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে।

বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস ও টাকা

মাহবুব ‍বিশ্বাসের দুটি পরিচয়পত্র

সংবাদ সম্মেলনে এসপি আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বরগুনার কলেজ ব্রাঞ্চ রোডের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ডিভাইস ও দুই লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করা হয়।

ওই সময় বাড়িটির বাসিন্দা মাহবুবু বিশ্বাস, তার স্ত্রী নাজমুন্নাহার, শ্যালক আমানত উল্লাহ ও ডিভাইস নিতে আসা ইউনুস নামের একজনকে আটক করা হয়। মাহবুবের দুইটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে, যেখানে তার সংবাদিক পরিচয় রয়েছে। 

মাদারীপুরে গ্রেপ্তার ১৫

মাদারীপুর সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুমন কুমার দেব জানান, শুক্রবার সকালে শহরের পাঠককান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, প্রিন্টারসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী উদ্ধারের কথাও জানান তিনি।

সহকারী পুলিশ সুপার সুমন বলেন, এ চক্রটি সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে প্রশ্ন সরবরাহ করে। শুক্রবার সকালে পরীক্ষা শুরুর পর প্রশ্নপত্রের সঙ্গে সেই প্রশ্নপত্র মিলিয়ে দেখা হয়।

দুটি প্রশ্নপত্র মিলে যাওয়ায় প্রশ্নফাঁস চক্রের ওই সদস্যদের ধরতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল পাঠককান্দি এলাকায় অভিযান চালায় জানিয়ে তিনি বলেন, “গতকাল থেকেই তাদের নজরদারিতে রাখা হচ্ছিল। পরে ওই এলাকার একটি বাড়ি থেকে ১১ জনকে ও অপর একটি বাড়ি থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।”

তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এ ব্যাপারে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।