বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় ‘মানসিক প্রতিবন্ধী’ 

নারায়ণগঞ্জে উচ্চ ক্ষমতার একটি বৈদ্যুতিক টাওয়ারের চূড়ায় উঠেছেন এক ব্যক্তি, যাকে মানসিক প্রতিবন্ধী বলছেন স্থানীয়রা।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2018, 02:14 PM
Updated : 20 April 2018, 02:15 PM

শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে সোনারগাঁ উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

সোনারগাঁ থানার এসআই ফয়সাল হোসেন হাওলাদার জানান, টাওয়ারের চূড়ায় ওই ব্যক্তি ওঠার পরই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে বিদ্যুতের ঠিকাদারী কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মীকে টাওয়ারে ওঠিয়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় নিচে নামিয়ে আনা হয়।

তিনি বলেন, “ওই ব্যক্তির নাম জাকির হোসেন বললেও সে জানিয়েছে তার নাম নাজমুল হোসেন। তার বাড়ি চাঁদপুর বলে জানিয়েছে সে। সে মানসিক রোগী। তাকে থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।”

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে এসআই ফয়সাল জানান, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জামিল খাঁন কমপ্লেক্সের সামনে এক লাখ ৩২ হাজার ভোল্টের ১২০ ফুট উঁচু বৈদুতিক টাওয়ারে ওঠা শুরু করেন ওই ব্যক্তি। স্থানীয়রা চিৎকার করে তাকে বারবার বারণ করে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে তিনি ওই টাওয়ারের চূড়ায় উঠে বসেন।

ফয়সাল বলেন, এলাকার লোকজন ও পথচারীরা ওই ব্যক্তিকে টাওয়ারের উপর থেকে নেমে আসতে বলে ব্যর্থ হয়। এরপর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। তারা ঘটনাস্থলে এসে ওই টাওয়ারের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার ব্যবস্থা করে।

ফয়সাল আরও বলেন, দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হ্যান্ড মাইকে ডেকেও পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ওই ব্যক্তিকে টাওয়ারের চূড়া থেকে নামাতে পারেননি।

“সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিদ্যুতের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মীকে সেফটি বেল্টসহ রুটি, কলা, পানি ও নগদ টাকা দিয়ে সেকানে পাঠায়। তারা ওই ব্যক্তিকে খাবার খাইয়ে ও নগদ টাকা দেওয়ার কথা বলে তাকে নিচে নামিয়ে আনেন।”

এর আগে ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পারুল আক্তার নামের এক মানসিক রোগী তরুণী ১৩৩ ফুট উঁচু টাওয়ারে উঠেছিল। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন দুই ঘণ্টার চেষ্টায় তাকে নামিয়ে আনেন।

ওই তরুণীর বাড়ি রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার কুটিয়ার পাড়ায়। স্বামী ইয়াদ উল্লাহ সিদ্ধিরগঞ্জের সাইলো রোড এলাকার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক।