মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে ঝড় শেষে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া অনেক জনপ্রতিনিধি তাদের এলাকার ক্ষয়ক্ষতির খবর দিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসাটির টিনের চাল পুরোটা উড়ে গেছে। উত্তর সাকুচিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকার জয়দাসের সেলুনটি ঝড়ে উড়ে গাছে ঝুলে রয়েছে।
এ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের রবিউল, মোশাররফ সরদার ও এরশাদের বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। সাঈদুর রহমান ও জসিমের দোকানের চাল উড়ে গেছে।
ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবুল হাসেম সিরাজ কাজী বলেন, “হঠাৎ ঝড়ে বহু মানুষের বসতবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের খোঁজখবর নিচ্ছি।”
হাজির হাট ইউনিয়নের দাসেরহাট গিয়ে দেখা গেছে, কৃঞ্চ দাস, সাধন বালা দাস, শাহিনূর বেগম ও অলিউল্লার বসতঘরগুলোর চাল উড়ে গেছে। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আবু মিয়ার বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। উত্তর চরযতীন জামে মসজিদের টিনের চাল আংশিক উড়ে গেছে। এখানে বিদ্যুতের তারের ওপর গাছ পড়ে বিদ্যুৎলাইনের ক্ষতি হয়েছে।
প্রশাসন এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করতে পারেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল আজিজ ভূঁঞা বলেন, “ঝড়ে উপজেলায় মাদ্রাসাসহ বসতবাড়ির ক্ষতির খবর পেয়েছি। আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করব।”