সুন্দরবনে কয়লার জাহাজডুবি: উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি

সুন্দরবনের ভেতরে মংলা বন্দরের হারবাড়িয়ায় কয়লা বোঝাই জাহাজডুবির ৪০ ঘণ্টা পার হলেও উদ্ধার কাজ শুরু হয়নি।

অলীপ ঘটক বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2018, 06:07 PM
Updated : 16 April 2018, 06:07 PM

উদ্ধার কাজ শুরু না হওয়ায় বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

সোমবার বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের উদ্বেগের কথা জানান।

এদিকে, জাহাজডুবির ঘটনায় বাগেরহাটের মংলা থানায় পৃথক তিনটি সাধারণ ডায়েরি করেছে বনবিভাগ ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। তারা এতে আর্থিক ক্ষতির দাবি তুলেছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের বাগেরহাট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. এদাদুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রধান সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সেখান থেকে পরীক্ষার জন্য পানি সংগ্রহ করেছেন।

রোববার ভোররাত ৩টার দিকে সুন্দরবনের ভেতরে হারবাড়িয়া এলাকায় ৭৭৫ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে এমভি বিলাস নামে একটি লাইটার জাহাজ ডুবে যায়, যার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সাহারা এন্টারপ্রাইজ।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান বলেন, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের পশুর নদের চাঁদপাই রেঞ্জের ইকো ট্যুরিজম হারবাড়িয়া এলাকায় কয়লা নিয়ে ডুবে রয়েছে। এই ঘটনায় তারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

“ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই লাইটার জাহাজটি উদ্ধার কাজ তারা এখনও শুরু করতে পারেনি। আমদানিকারকদের সাথে আমরা এনিয়ে কথা বলেছি। আজকে তাদের উদ্ধার কাজ শুরু করার কথা থাকলেও তাদের আমরা ঘটনাস্থলেই পাইনি।”

দুয়েকদিনের মধ্যে ডুবে যাওয়া জাহাজটি উদ্ধার কাজ শুরু না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন বলে হুঁশিয়ার করেছেন তিনি।

তিনি জানান, জাহাজডুবির ঘটনা তদন্তে গঠিত এক সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। কমিটিকে জাহাজডুবির কারণ ও কয়লায় পরিবেশের কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে তা পর্যবেক্ষণ করে যতদ্রুত সম্ভব একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদন হাতে পেলেই পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলে জানান এই বন কর্মকর্তা।

পরিবেশ অধিদপ্তরের বাগেরহাট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) ও তদন্ত কমিটির প্রধান মো. এমদাদুল হক বলেন, জাহাজডুবির ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তর তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। তারা সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পানির নমুনা সংগ্রহ করেছেন।

এমদাদুল হক বলেন, জাহাজডুবির প্রায় ৪০ ঘণ্টা পার হলেও ঘটনাস্থলে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। পরীক্ষার পরেই বলা যাবে এতে পরিবেশের ক্ষতি হবে কি হবে না।

মংলা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, সুন্দরবনের ভেতরে জাহাজডুবির ঘটনায় বনবিভাগ, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ও লাইটার জাহাজ মালিকপক্ষ থানায় তিনটি পৃথক সাধারণ ডায়েরি করেছে।

তিনি জানান, সাধারণ ডায়েরিতে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান তাদের কয়লাডুবিতে এক কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির কথা; বনবিভাগ এবং জাহাজের মালিক পক্ষ শুধু দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ করেছে।

মংলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তুহিন মন্ডল মঙ্গলবার তার তদন্ত কাজ শুরু করবেন বলে জানান ওসি।