সোমবার দুপুরে নরসিংদী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সদর উপজেলার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের কুড়েরপাড় গ্রামের টকি মাহমুদের ছেলে আনোয়ার হোসেন, আব্দুল আউয়ালের ছেলে মোশারফ হোসেন, ওমর আলীর ছেলে ফিরোজ মিয়া, আব্দুল আউয়ালের ছেলে জুলহাস মিয়া, আমজাত আলীর ছেলে আকবর আলী ও আ. গনি মিয়ার ছেলে সুন্দর আলী।
একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মোস্তাফিজুর নামে এক আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি পাঁচদোনা বাজার থেকে ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন সদর উপজেলার কুড়েরপাড় গ্রামের সাহাজউদ্দিনের ছেলে গোলাপ হোসেন (৩০)।
তিন দিন পর পাঁচদোনা ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়ে এক ব্যক্তির হাতের একটি অংশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। আর পাশে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় মাথাসহ ১০ টুকরা লাশ পাওয়া যায়। পরে গোলাপের স্বজনরা তা শনাক্ত করে।
এ ঘটনায় তার বড় ভাই মোস্তফা হোসেন বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্ত শেষে সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।