হাতিয়ায় বাড়ি এসে গুলি: শিশু নিহত, বাবা হাসপাতালে

নোয়াখালীর হাতিয়ার এক বাড়িতে ‘রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের’ হামলায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়েছে তার বাবা।

নোযাখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2018, 04:09 AM
Updated : 16 April 2018, 01:18 PM

হাতিয়া থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান সিকদার জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে হাতিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিশকাতুর রহমান নীরব (১১) রহমানিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। তার বাবা মিরাজ উদ্দিনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মিরাজ স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। দলের অন্য একটি পক্ষের সমর্থকদের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। 

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে হাতিয়া পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ইউছুফ আলী ও বিদ্রোহী প্রার্থী ছাইফ উদ্দিন আহমদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটে। পরে ভোটে জিতে মেয়র নির্বাচিত হন ইউছুফ, যিনি স্থানীয় এমপি আয়েশা ফেরদৌসের সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

গুলিবিদ্ধ মিরাজ হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, ওই নির্বাচনে তিনি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছাইফ উদ্দিনের পক্ষে কাজ করেন। তখন থেকেই এমপি সমর্থকদের সঙ্গে তার বিরোধ চলছিল।

তার অভিযোগ, ওই পক্ষের ২০ থেকে ৩০ জন ‘সন্ত্রাসী’ রাতে তার বাড়িতে এসে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এ সময় তিনি ও নীরব গুলিবিদ্ধ হন।

দুজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক নীরবকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, রাত ১২টায় নীরবকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।

“নীরবের মাথায় আর মিরাজের পিঠে গুলি লেগেছে। মিরাজকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”

ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, তাদের ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। আর মামলার প্রস্তুতি চলছে।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে হাতিয়ার ওসি কামরুজ্জামান জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদৌস বলেন, একটি মহল নীরবের হত্যাকারীদেরকে তার অনুসারী হিসেবে চালানো চেষ্টা করছে।

এই ঘটনার সঙ্গে তার কোনো কর্মী বা সমর্থকের সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন তিনি।