সুন্দরবনে কয়লা বোঝাই জাহাজডুবির ঘটনা তদন্তে কমিটি

সুন্দরবনে কয়লা বোঝাই জাহাজডুবির ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেছে বনবিভাগ।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 April 2018, 05:45 PM
Updated : 15 April 2018, 05:45 PM

এদিকে, এ জাহাজডুবিতে পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আমদানিকারকরা পরিবেশের ক্ষতির শঙ্কার নেই বলে মনে করেন।

রোববার ভোর ৩টার দিকে হারবাড়িয়া এলাকায় ৭৭৫ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে এমভি বিলাস নামে একটি লাইটার জাহাজ ডুবে যায়।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান রাতে জানান, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের পশুর নদের চাঁদপাই রেঞ্জে জাহাজডুবির ঘটনায় এক সদসস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

“চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. শাহীন কবির জাহাজডুবির কারণ ও কয়লায় পরিবেশের কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে তা পর্যবেক্ষণ করে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন দেবেন।”

তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে বলে জানান ওই বন কর্মকর্তা।

মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, “কয়লা বোঝাই লাইটার জাহাজডুবির পর তাতে থাকা কয়লা যাতে পশুর নদীতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা খুবই কম।”

বন্দর চ্যানেল স্বাভাবিক রয়েছে। এতে বন্দরে জাহাজ আগমন নির্গমনে কোনো বাধার সৃষ্টি হচ্ছে না। ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজটিকে তুলতে আমদানিকারকদের বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সাহারা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) মো. লালন হাওলাদার বলেন, এই লাইটার জাহাজে যে কয়লা রয়েছে তা কোথাও ভেসে যায়নি। কয়লা লাইটার জাহাজের ভেতরেই রয়েছে।

“সুতারাং এতে পরিবেশের কোন ক্ষতির আশংকাও নেই। আমরা ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি।”

পরিবেশ অধিদপ্তরের বাগেরহাট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. এমদাদুল হক রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কয়লা চার ধরনের হয়ে থাকে। আগামীকাল সোমবার সকালে পরিবেশ বিভাগের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবে। সেখানে গিয়ে তারা পানি ও কয়লা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষাগারে পাঠাবেন। পরীক্ষার পরেই বলা যাবে এতে পরিবেশের ক্ষতি হবে কি হবে না।

তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে আরও বেশ কয়েকবার সুন্দরবনের ভেতরের নদীতে কয়লা বোঝাই জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে।

“সে সময় আমরা তা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পরীক্ষ নিরীক্ষা করি। কয়লাতে যে ধরনের সালফার থাকে তাতে বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। ফলে বেশি পানির এলাকায় তাতে পরিবেশের তেমন ক্ষতি হয়নি। কয়লা যদি বদ্ধ এলাকায় পড়ে থাকে তাহলে অনেক সময় ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।”