মুক্তাগাছায় যুবলীগ নেতাকে মারধর, আরেকজনের প্রতিষ্ঠানে হামলা

ময়মনসিংহে ‘অটোরিকশার টোল আদায় নিয়ে’ যুবলীগের এক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর আরেক নেতার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করা হয়।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 April 2018, 01:21 PM
Updated : 15 April 2018, 01:21 PM

মুক্তাগাছা থানার ওসি আলী আহম্মেদ মোল্লা জানান, রোববার সকালে এ ঘটনার পর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ওসি বলেন, মুক্তাগাছা পৌর বাস টার্মিনালের দখল ও ইজারাসহ নানা বিষয় নিয়ে উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল হক মনির সঙ্গে উপজেলা যুবলীগের একাংশ ও মুক্তাগাছা পৌর যুবলীগের বিরোধ চলে আসছিল।

“এসব বিষয় নিয়ে সম্প্রতি মাহবুবুল হক মনির লোকজন মুক্তাগাছা পৌর যুবলীগের আহবায়ক মইনুল ইসলাম সোহেলকে মারধর করেছে বলে শুনেছি।”

শহর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রবিন সরকার বলেন, সকালে মুক্তাগাছা পৌর যুবলীগের সদস্য সাইদুল ইসলাম শহরের বড়হিস্যা বাজারে সিএনজি অটোরিকশা থেকে পৌর ‘টোল আদায়’ করতে যান।

“এ সময় মাহবুবুল হক মনি তার লোকজন নিয়ে সাইদুলকে মারধর করেন। পরে মনি ও তার লোকজন দা ও লাঠি নিয়ে শহরে মহড়া দেন।

“এ ঘটনার জেরে কে বা কারা মনির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘বিহন মটর্সে’ গিয়ে হামলা করেছে তা আমি অবগত নই।”

সাইদুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান রবিন।

মুক্তাগাছা উপজেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক মাহবুবুল হক মনি বলেন, “বিনা কারণে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম ও শহর যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক রবিন সরকারের নেতৃত্বে আমার বাসা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করা হয়েছে।”

এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি মনির।

মাহবুবুল হক মনির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার কথা অস্বীকার করেছেন রবিন সরকার।

ওসি আলী আহম্মেদ আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।