এর ফলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে কেবল নারায়ণগঞ্জ ছাড়া সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
জয়দেবপুর রেলওয়ে ফাঁড়ির এসআই মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, রোববার বেলা সোয়া ১২টার দিকে টঙ্গীর নতুনবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “ট্রেনটি এক লাইন থেকে আরেক লাইনে যাওয়ার সময় একটি বগি মাঝে আটকে যায়। ওই অবস্থায় ট্রেনটি কয়েকশ গজ এগিয়ে যায়।”
আহতদের মধ্যে সাতজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর মো. শাহাদাত (৩৮) নামে আরও একজনকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে মেডিকেল ফাঁড়ির এএসআই বাবুল মিয়া জানান।
ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি বাকি ছয়জন হলেন, বাদল (২৮), সবুজ (৪০), ইসরাফিল (১২),আলমগীর (৩২), বাদল (৫০) ও মো. শরিফ (২৮)। তাদের শরীরে বিভিন্নস্থানে জখম রয়েছে।
তারা হলেন - নেত্রকোণার পূর্বধলা থানার কাতোয়ারি এলাকায় আব্বাস উদ্দিন খানের ছেলে হৃদয় খান (১৮), গাজীপুরের শ্রীপুর থানা এলাকার আব্দুল আলীর ছেলে মো. খোকন (৪২) ও ময়মনসিংহের পাগলা থানার নামানংগাইর এলাকার সালামত বেপারীর ছেলে আমির উদ্দিন (৩৫)।
কমলাপুর রেলওয়ে থানার ওসি ইয়াসিন জানান, দুর্ঘটনার পর লাইন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যর একটি তদন্ত কিমিটি করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মো. শরিফুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রেলওয় পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামানকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।