বৃহস্পতিবার গাজীপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
তবে ইরটার্নিং কর্মকর্তা এভাবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে ‘নির্বাচনী উৎসব’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম মনোনয়নপত্র জমা দিতে দলবল নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢোকেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. রকিব উদ্দিন মন্ডল মনোনয়নপত্র গ্রহণশেষে জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যদের নির্বাচনী আচরণবিধির কপি বিলি করেন।
এর আগে তার সমর্থিত নেতা-কর্মীরা জেলা শহরের দলীয় কার্যালয় থেকে পোস্টার, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও নৌকা প্রতীকসহ মিছিল নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় চত্বরে যান।
এ ব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মন্ডল বলেন, “আচরণবিধি যাতে লঙ্ঘিত না হয়, সে ব্যাপারে আমি ডিসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি, এসপি সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি, কেন্ডিডেটদের সঙ্গে কথা বলেছি। মনোনয়নপত্র দাখিল করার সময় কোনো প্রার্থীর সঙ্গে যেন পাঁচজনের বেশি লোক না আসে।”
“পুলিশরা বলেছে, জোর করে তারা ভেতরে ঢুকে গেছে। অনেকে সাংবাদিকদের ছবি নেওয়ার সময় কৌতূহলবশত আমার রুমে ঢুকে পড়েছে। তারপরও পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেটদের বলে দিয়েছি কোথাও যাতে কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন না করেন।”
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে বড় বড় কেন্ডিডেট যারা আছেন, তাদের দেখার আগ্রহ, সাংবাদিকদের সামনে ছবি দিতে কৌতূহল নিয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে অনেকে ঢুকে পড়েছিল।
আইনবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত একশভাগ সফলতা পাওয়া যায়নি বলে তিনি স্বীকার করেন।
প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের আগে যেকোনো ধরনের মিছিল, মিটিং, পোস্টার, লিফলেট বিলি, ব্যানার স্থাপন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়পত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল; মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৩ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ২৪ এপ্রিল।
আগামী ১৫ মে ভোট গ্রহণ করা হবে।