বুধবার খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে বৈসাবির উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল আমীন।
সচিব বলেন, পাহাড়ের এ উৎসব প্রাণের উৎসব। পাহাড়ে ও সমতলে বসবাসরত সকল নৃগোষ্ঠির মানুষের কল্যাণে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।
“পার্বত্য শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে শান্তি, স্থিতি ও উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে; পাহাড়ি বাঙালির সম্প্রীতির মেলবন্ধন সৃষ্টি হয়েছে।বৈসাবি উৎসবের রঙেও আলোয় আলোকিত হবে পাহাড়ের সকল মানুষ।”
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, উদ্বাস্তু বিষয়ক টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান।
এছাড়া খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের উদ্যোগে জেলার ২৫ গুণী ব্যক্তিকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।
বৈসাবির প্রধান অনুষ্ঠান চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসানো হবে বৃহস্পতিবার সকালে। চাকমা সম্প্রদায়ের মূল বিঝু আর পহেলা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা হবে শুক্রবার। ওই দিন ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন, নদী, খাল অথবা ঝর্ণায় হবে গঙ্গাদেবীর পূজা-অর্চনা। ১৪ এপ্রিল হবে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই, পানি উৎসব ও বাংলা নববর্ষের শোভাযাত্রা।
১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ নামে এ উসব হয়ে আসছে।
ত্রিপুরা ভাষায় ‘বৈসু’, মারমা ভাষায় ‘সাংগ্রাই’ ও চাকমা ভাষায় ‘বিঝু’ নামে এ উৎসব হয়ে থাকে। তিন ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’।