মহেশখালীতে কথিত গোলাগুলিতে আহত যুবকের মৃত্যু

কক্সবাজারের মহেশখালীতে কথিত গোলাগুলিতে আহত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 April 2018, 06:01 PM
Updated : 10 April 2018, 06:01 PM

শাকের উল্লাহ (২৮) নামের ওই যুবক সোমবার ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে মারা যান বলে জানান মহেশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ কে এম শফিকুল আলম চৌধুরী।

মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান শফিকুল।

শাকের মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের সিপাহী পাড়ার মনির আহমদের ছেলে।

শফিকুল বলেন, ২৬ মার্চ গভীর রাতে মহেশখালীর ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের সিপাহী পাড়ার পাহাড়ি এলাকায় দুদল সন্ত্রাসীর মধ্যে সংঘর্ষে শাকের পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ আটকের পর তাকে প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

“পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক গত ২৭ মার্চ সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। সেখানে সপ্তাহখানেক থাকার পর ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়।”

শফিকুল বলেন, ওই সংঘর্ষে শাকের উল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে পুলিশের হাতে আটক হন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আরও চার জনকে আটক এবং দেশে তৈরি একটি বন্দুক ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

পরে এ ঘটনায় আটক পাঁচ জনসহ জড়িতদের আসামি করে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।

এ ব্যঅপারে শাকের উল্লাহর বড় ভাই খায়রুল আমিন বলেন, “আমার ভাই একজন নিরাপরাধ মানুষ। তার বিরুদ্ধে থানায় ও আদালতে কোনো মামলাও নেই। মুদির দোকান করে সংসার চালাত।”

“ঘটনার দিন রাতে শাকের উল্লাহ দোকান থেকে ফিরে খাবার খেয়ে বাড়ির পাশে পাহাড়ের উপর বন্ধুদের সঙ্গে তাস খেলতে যায়। সেখান থেকে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে দুপায়ে গুলি করে পাহাড়ের উপর থেকে ফেলে দেয়।”

পরিবারের দাবি সত্য নয় দাবি করে পরিদর্শক শফিকুল বলেন, “শাকের উল্লাহ চিহ্নিত সন্ত্রাসী দলের সদস্য। সন্ত্রাসীদের দুপক্ষের সংঘর্ষের খবরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি পাওয়া যায় ‘