কোটা বহাল রাখার দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা বহাল রাখার দাবিতে বিভিন্ন জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

জেলা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 April 2018, 04:55 PM
Updated : 10 April 2018, 04:55 PM

মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী বরবার একটি স্মারকলিপিও দেন তারা।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। তাদরে আন্দোলনের মুখে কোটা সংস্কার বিষয়ে তাদের দাবি যাচাইয়ের জন্য আগামী ৭ মে পর্যন্ত সময় নিয়েছে সরকার।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ:

ঠাকুরগাঁও

মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন মুক্তিযোদ্ধারা।

এ সময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা রেশাল উদ্দীন, আব্দুস সোবহান, সলেমান আলীসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঠাকুরগাঁও

রেশাল উদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা রয়েছে, যা বাতিল করার জন্য একটি কুচক্রি মহল ষড়যন্ত্র করছে।

“আমরা এই ষড়যন্ত্রের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সেইসাথে মুক্তিযোদ্ধার ৩০ শতাংশ কোটা বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে দুপুরের দিকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। স্মারকলিপিটি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

ময়মনসিংহ

কোটা বহালের দাবিতে ময়মনসিংহ শহরের প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড।

মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ময়মনসিংহ জেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় রেলওয়ে কৃষ্ণচূড়া চত্বরে মঙ্গলবার দুপুরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা এম এ রব, আনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ

কোটা সংস্কারের নামে বিএনপি-জামায়াত শিবির সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে এই চক্রকে প্রতিহত করতে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও বংশধর এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান বক্তারা।

সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও বংশধরসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

ঝিনাইদহ

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটা বহাল রাখার দাবিতে ঝিনাইদহে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মুক্তিযোদ্ধারা।

সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা।

ঝিনাইদহ

মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে তাদের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর জমা দেন।

সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মকবুল হোসেন বলেন, কোটা সংস্কারের নামে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটা কোনো অবস্থায় বাতিল করা যাবে না। আর এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবি স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির একটি ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার গোলাম মোস্তফা লোটন।

শৈলকূপা উপজেলায়ও কোটা বহাল রাখার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মুক্তিযোদ্ধরা ।মিছিল শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।

পিরোজপুর

কোটা নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে পিরোজপুরে মানববন্ধন করেছে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড।

পিরোজপুর

শহরের টাউন ক্লাব সড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাকিম হাওলদার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার গৌতম চৌধুরী, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার এম এ রব্বানী ফিরোজ, পৌর কাউন্সিলর সাদউল্লাহ লিটন, পৌর কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম সিকদার, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক রেজাউল করিম মন্টু সিকদারসহ মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।

মানববন্ধন শেষে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রাশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেন।

নেত্রকোণা

নেত্রকোণা জেলা ও সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের আয়োজন করেছে।

সকালে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি এবং সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে শেষ হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা শামছুজ্জোহা, আইয়ুব আলী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান গাজী কামাল, হাবিবা রহমান শেফালীসহ অন্যরা।

মুক্তিযোদ্ধা শামছুজ্জোহা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের এই বাংলায় অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি কোটা সংস্কারের নামে আন্দোলন করছে।

মুক্তিযোদ্ধা সন্তান গাজী কামাল হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন বন্ধ না করলে তা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করা হবে।