নেত্রকোণার জেলা ও দায়রা জজ রাশেদুজ্জামান রাজা মঙ্গলবার এক দশক আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া মামলার আরও চার আসামিকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডিত পাঁচজনকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিলে তাদের আরও তিন মাস কারাগারে থাকতে হবে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মানিক মিয়া সদর উপজেলার আসদআটি গ্রামের ওয়ারেছ আলীর ছেলে।
আর কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন - একই গ্রামের ওয়াহেদ আলী (৬০), মুর্তুজা আলী (৫০), ইয়াদ আলী (৪৫) ও ছোয়াব আলী (২৫)।
রায় ঘোষণার সময় পাঁচ আসামিই আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার দুই আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।
নেত্রকোণার জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পিপি সাইফুল আলম প্রদীপ মামলার নথির বরাতে বলেন, বড়ওয়ারী উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করতেন একই গ্রামের মানিক মিয়া।
“ছাত্রীর বাবা একই গ্রামের বঙ্কিম সূত্রধর মানিক মিয়ার অভিভাবকদের কাছে নালিশ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০০৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার দিকে মানিক ও তার লোকজন বঙ্কিমকে পিটিয়ে হত্যা করেন।”
পরদিন নিহতের ভগ্নিপতি একই গ্রামের কানাইলাল সাতজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৭ মার্চ সাতজনের বিরুদ্ধেই আদালতে অবিযোগপত্র দেয়।
পিপি সাইফুল বলেন, “দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারক রাশেদুজ্জামান রাজা মানিক মিয়াকে ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন। আর আরও চারজনকে তিন বছর করে কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।”