বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে ফয়সালের লাশ শরীয়তপুরের ডামুড্যায় পৌঁছানোর পর নাজিয়ার লাশ তুলে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন ডামুড্যা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু চন্দ্র মন্ডল।
গত ১২ মার্চ নেপালে ইউএস বাংলার বিমান বিএসএস ২১১ বিধ্বস্তে নিহত হন ২৬ বাংলাদেশি। তার মধ্যে ছিলেন ডামুড্যা উপজেলার সিধলকুড়া গ্রামের সামসুদ্দিন সরদারের ছেলে বেসরকারি বৈশাখী টেলিভিশনের রিপোর্টার আহমেদ ফয়সাল ও পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রধান নাজিয়া আফরিন চৌধুরী।
নেপাল থেকে মরদেহ আসার পর কফিনবন্দি অবস্থায় স্বজনদের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়। গত ২০ মার্চ ফয়সালের বাড়ির সামনে তাকে দাফন করা হয়। লাশ কবরে নামানোর পর তাতে নাজিয়া আফরিন চৌধুরী লেখা দেখতে পায় স্বজনরা।
মরদেহ বদল বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদনের পর বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে ফয়সালের লাশ বাড়ি ফেরার পর একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে নাজিয়া আফরিনের লাশ উত্তোলন করে সেখান তাকে দাফন করা হবে। আর নাজিয়ার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
লাশ নেওয়ার জন্য নাজিয়ার তার বড় ভাই আলী আহম্মেদ চৌধুরী শরীয়তপুরে পৌঁছেছেন।
আলী আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, নেপাল থেকে লাশ ট্যাগ করার সময় সঠিকভাবেই শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে কফিন করার সময় ভুলবশত একজনে লাশ অন্যজনের কফিনে দিয়ে দেওয়ার কারণে এ সমস্যা হয়েছে।
“আমরা আজকেই লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে বাড়ি নিয়ে দাফন করব।”
এ ব্যাপারে ফয়সালের খালাত ভাই জাকির হোসেন সুমন বলেন, লাশ বদলের জন্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ। এখন ফয়সালের লাশ বাড়ি পৌঁছালেই কবরের ওই লাশ তুলে ফেরত দেওয়া হবে।
“আর ফয়সালের লাশ এ কবরেই দাফন করা হবে।”
পরিদর্শক মিন্টু চন্দ্র মন্ডল বলেন, বৃহস্পতিবার গভীর রাতেই লাশ বদল হবে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজী আকতার উপস্থিত থেকে তা বদল করবেন।