যৌন নিপীড়নের আতঙ্ক নওয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

মেহেরপুরের নওয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের যৌন নিপীড়নের আতঙ্কে ভুগছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

মেহেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 April 2018, 11:58 AM
Updated : 2 April 2018, 12:01 PM

এক মাস আগে জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) তদন্তের নির্দেশ দিলেও তা এখনও শেষ না হওয়ায় ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

জেলার গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ অভিভাবকরা সোমবার মেহেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।

চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা বলেন, কয়েক মাস আগে বিদ্যালয়টি থেকে শিক্ষার্থীরা অন্য বিদ্যালয়ে চলে যেতে থাকে। অনেকেই বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।

“খোঁজ নিয়ে জানা যায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বকুল শিশুদের যৌন-নির্যাতন করেন।  এ ঘটনায় মাসখানেক আগে জেলা প্রশাসক গাংনীর ইউএনও এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। কিন্তু মাস পেরিয়ে গেলেও তদন্ত শেষ হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে সন্দেহ করছেন অভিভাবকরা।”

সংবাদ সম্মেলনে অভিভাবক সাজদার আলী বলেন, তার মেয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দিলে তিনি খোঁজ নিয়ে ঘটনা জানতে পারেন।

“পরে আমি অন্য শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কাছে গিয়ে এর সত্যতা পাই।”

ক্লাস শেষে কোচিংয়ের সময় প্রধান শিক্ষক শিশুদের ওপর এই নির্যাতন চালান বলে অভিভাবক তোফাজ্জেল হোসেন জানান।

তিনি বলেন, “এখন প্রধান শিক্ষক অভিভাবকদের কাছে ক্ষমা চাইছেন। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রলোভনও দিচ্ছেন। এ বক্তব্যের অডিও রেকর্ডও আছে। কিন্তু আমরা চাই, তাকে শাস্তি দিয়ে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হোক।”

বিদ্যালয়টিতে আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থী নিবন্ধিত হলেও এখন উপস্থিতি প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে তারা জানান।

তবে এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান বকুল বলেন, “ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টিকে অন্যভাবে নেওয়া হয়েছে। তার পরও আমি দুঃখিত।”

তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিষ্ণুপদ পাল বলেন, “কিছুটা দেরি হতেই পারে। তবে তদন্ত থেমে নেই।”

তদন্ত এখনও শেষ হয়নি কেন, ইউএনওর কাছে এর জবাব চাইবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ।