রোববার হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আসমা বেগম রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে আদালত পরিদর্শক অহিদুর রহমান জানান।
তিনি বলেন, বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে বাবুলকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে রোববার এক প্রেস ব্রিফিং করেছে জেলা পুলিশ।
দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে এ ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা বলেন, মামলাটি দ্রুত নিস্পত্তির জন্য জোড়ালোভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। বাবুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আরও কারা জড়িত রয়েছে তা জানা যাবে।
গত ১৭ মার্চ সকালে উপজেলার পুরাইকলা বাজার সংলগ্ন হাওরে বিউটি আক্তারের (১৫) লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় গত ১ মার্চ সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল ও তার মা ইউপি সদস্য কলম চাঁনের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা করেন। মামলাটি ৪ মার্চ শায়েস্তাগঞ্জ থানায় পাঠায় আদালত।
পরে সায়েদ আলী ১৬ মার্চ বিউটিকে লাখাই উপজেলার গুনিপুর গ্রামে নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ওই রাতেই সেখান থেকে নিখোঁজ হয় বিউটি।
পরে বিউটিকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ১৭ মার্চ সায়েদ আলী বাদী হয়ে বাবুল মিয়াসহ দুজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার পর ২১ মার্চ পুলিশ বাবুলের মা কলমচান ও সন্দেহভাজন হিসেবে একই গ্রামের ঈসমাইলকে গ্রেপ্তার করে।
পরে ৩০ মার্চ রাতে সিলেট থেকে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
এছাড়া ঘটনা তদন্তে ২৯ মার্চ তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে পুলিশ। হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আ স ম শামছুর রহমান ভূইয়াকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন বানিয়াচং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা ও সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম।