উত্তরের ২ জেলায় শিলাবৃষ্টি

শুক্রবার সকালে লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়িসহ ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিলালমনিরহাট ওবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2018, 10:39 AM
Updated : 30 March 2018, 10:39 AM

লালমনিরহাট সদর উপজেলা, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী উপজেলা ও ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার সকাল ১০ থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এই শিলাবৃষ্টি হয় বলে জনপ্রতিনিধিরা জানান।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার  মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, শিলাবৃষ্টিতে তার ইউনিয়নের কয়েক শত বাড়িঘর ও বহু ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

মোগলহাট এলাকার সুজল রহমান এ রকম শিলাবৃষ্টি জীবনে কোনো দিন দেখেননি বলে জানান।

তিনি বলেন, “টিনের ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে গেছে। সবজিক্ষেত, তামাক, বোরো ও ভুট্টাক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।”

তবে প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানাতে পারেনি।

লালমনিরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিধুভূষণ রায় বলেন, ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। তবে এতে ফসলের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। প্রত্যেক এলাকায় খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফও খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ করে আকাশ কালো হয়ে আসে। এরপর প্রচণ্ড বৃষ্টির সঙ্গে বরফপাথর পড়তে তাকে।

“ঠাকুরগাঁওয়ে গড়ে ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। শিলাবৃষ্টিতে অনেক জায়গায় গম, ভুট্টা, মসুরসহ বেশ কয়েক ধরনের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি আম-লিচুর মুকুল ঝরে পড়েছে।”

তবে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের বকসের হাট এলাকার বাসিন্দা কৃষক সিরাজ উদ্দীন বলেন, “আমার ১০ বিঘা জমিতে ভুট্টা ও গম রোপণ করেছিলাম। কয়েক দিনের মধ্যেই ঘরে তুলতে পারতাম।

“হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন যা আছে তা দিয়ে চাষের খরচ উঠবে না।”

আখানগর ইউনিয়নের কৃষক আলতাফ হোসেনের পাঁচ বিঘা জমির আম ও লিচুগাছের ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান।

“গাছগুলোয় ভালো মুকুল এসেছিল। শিলাবৃষ্টিতে সব ঝরে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।”