সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন জানান, বুধবার রাতে মামলা হওয়ার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন শাজাহানপুর উপজেলার পদ্মগাড়ী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে স্বপন মিয়া (২৫), সদরের নাটাইপাড়া বউবাজার এলাকার ওয়াহেদ আলীর ছেলে মাহিদুল হাসান (১৯), সূত্রাপুরের শেখ শাহ আলমের ছেলে শরিফুল ইসলাম (২৮) ও একই এলাকার আজিজার রহমানের ছেলে মমিনুল ইসলাম (২৫)।
এরা জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি ও পশ্চিম বগুড়া অটোরিকশা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শেখের কর্মী বলে পুলিশের ভাষ্য।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি জানান, পুলিশের বিশেষ শাখার এএসআই মাহবুবুল আলম ও কনস্টেবল মোস্তাকিম হোসেন বুধবার দুপুরে শহরের গোহাইল রোডে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় মূল সড়কের পাশের গলিতে তাদের মোটরসাইকেলটি রাখা ছিল।ফেরার সময় দেখতে পান মোটরসাইকেলের চাকার হাওয়া নেই।
এ সময় তারা পুলিশ পরিচয় দিলে মারধরকারী চার ব্যক্তি আলহাজ্ব শেখের লোক বলে জানায় বলে মামলা বলা হয়েছে।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে বলে জানান তিনি।
ওসি বলেন, ঘটনার সময় জেলা যুবলীগ নেতা আলহাজ্ব শেখ সেখানে উপস্থিত হন এবং পরিস্থিতি শান্ত না করে পুলিশের দুই সদস্যকে হুমকি দেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রাতেই এএসআই মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে মামলা করেন।
এ ব্যাপারে আলহাজ্ব শেখ বলেন, “ঘটনাটি দুঃখজনক।ভুল বোঝাবুঝি থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। “
ঘটনার জন্য প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানান তিনি।