সদর থানার ওসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাদের বখত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান গনিউল সালাদিনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
“পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গেও সালাদিনের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।”
তবে তিনি আহত কারও নাম-পরিচয় বলতে পারেননি।
এদিকে সংঘর্ষের কারণে কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাবিবুল্লাহ।
পরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলে আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয় বলে তিনি জানান।
স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান গনিউল সালাদিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার লোকজনের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
“আমরা কারও ওপর হামলা চালাইনি। আমার সমর্থকদের ওপর হামলার কারণে নির্বাচন বর্জন করেছি।”
তবে নির্বাচন বর্জনের কথা তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বলেননি।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাদের বখতের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি সাড়া দেননি।
ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়।
এরই একটি হল সুনামগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র নির্বাচন। গত ১ ফেব্রুয়ারি আয়ূব বখত জগলুল মারা গেলে এখানে মেয়রের পদটি শূন্য হয়। ২২ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।