চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার শাহবাজকান্দি এলাকার শাহজাহান শিকদারের ছেলে সুফিয়ান আহমেদ ওরফে শিবির, একই উপজেলার দক্ষিণ ফতেপুর এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে সাইফুর ইসলাম ওরমে সুজন এবং একই এলাকার মো. মোশারফ সরদারের ছেলে মো.শরীফ সরদার।
রায় ঘোষণার সময় তারা তিনজনই কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার দক্ষিণ ফতেপুর এলাকার আব্দুল মান্নান ওরফে মনু বেপারীর ছেলে মাসুদ রানা এলাকায় কসমেটিকস ও মোবাইল ফোনের ব্যবসা করতন। আসামি শরীফ তার দোকানে একটি সোনার চেইন জমা রেখে দুই হাজার টাকা ধার নেন।
কিন্তু চেইনটি স্বর্ণের না হওয়ায় মাসুদ টাকা ফেরত চাইলে শরীফ তালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি টাকা দিতে রাজি হন।
২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে মাসুদ দোকান বন্ধ করে শরীফের কাছ থেকে টাকা আনতে যান। পরদিন দক্ষিণ ফতেপুর গ্রামে আরশাদ বেপারি বাড়ির পুকুরের পশ্চিম পাড় থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় মাসুদের ভাই ফারুক ব্যাপারী শরীফসহ তিনজনকে আসামি করে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেন।
পরে শরীফকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি মাসুদ জবানবন্দি দেন। পরে শিবির ও সুজনকে গ্রেপ্তার এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যাবহৃত একটি চাপাতি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
তদন্ত শেষে মতলব উত্তর থানার এসআই খন্দকার মো.ইব্রাহিম ওই বছরের ৩০ মে আসামিদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দিলে মামলার বিচার কাজ শুরু হয়।