লাঙ্গলবন্দে অষ্টমীর স্নানে নেমে ডুবে শিশুর মৃত্যু

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে অষ্টমীর স্নানে নেমে পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 March 2018, 11:04 AM
Updated : 25 March 2018, 11:04 AM

রোববার সকাল ৬টার দিকে পাষাণকালী ঘাটে চাচার সঙ্গে স্নানে নেমে শিশুটি নিখোঁজ হয় বলে জানান জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও স্নান উদযাপন কমিটির সদস্য শংকর সাহা।

মৃত শুভ (৭) নওগাঁর নিয়ামতপুর থানার জারিলা গ্রামের দুলাল চন্দ্র দাসের ছেলে।

শংকর সাহা বলেন, নওগাঁ থেকে চাচা সাগর চন্দ্র দাসের সঙ্গে স্নানে আসে শুভ। রোববার সকাল ৬টার দিকে পাষাণকালী ঘাটে স্নান করতে নেমে নিখোঁজ হয় সে।

“পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা সকাল ৯টার দিকে নদ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।”

বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পিন্টু বেপারী জানান, নওগাঁ থেকে শুভর বাবা বিকালে এসে পৌঁছলে তার কাছে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সৎকারের জন্য ২০ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে লাশ গ্রামের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

বন্দর থানার ওসি একেএম শাহীন মন্ডল জানান, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

দেবতা পরশুরাম তার বাবার আদেশে মাকে কুঠারের আঘাতে হত্যা করেন। মাতৃহত্যার পাপে তার হাতে কুঠারটি লেগে যায়।

পরে পাপ মোচনের জন্য পরশুরাম হিমালয় থেকে নিজ হাতের কুঠারটি লাঙ্গল বানিয়ে চষে পাহাড়-পবর্ত দিয়ে বর্তমান লাঙ্গলবন্দ এলাকায় এসে পৌঁছলে কুঠার হাত থেকে পড়ে যায় এবং এরপর ব্রহ্মপুত্র নদে স্নান করে পাপমুক্ত হন তিনি।

এরপর থেকে এই ব্রহ্মপুত্র নদের লাঙ্গলবন্দ তীর্থ স্থান হিসেবে পরিচিত পায়। এরপর থেকে পাপ মোচনের আশায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা চৈত্র মাসের শুক্লা তিথির অষ্টমীতে এখানে স্নান করেন।