উলু ধ্বনি, ঢাক, কাসর, ঘণ্টা, শঙ্খ ও পুরোহিতের মন্ত্র পাঠের মধ্য দিয়ে রোববার সকালে শেরপুরের বিভিন্ন মণ্ডপে মহাঅষ্টমী ও নবমী পূজা হয়।
জেলা শহরের রঘুনাথ বাজার কালী মন্দির, কালীর বাজার ভবতারা কালী মন্দির, নালিতাবাড়ী মন্দির ও শ্রীবরদী উপজেলার রানী শিমুলের মন্দিরে বাসন্তী পূজা হচ্ছে। পূজা উপলক্ষে মণ্ডপগুলো নানা রঙের আলোতে সাজানো হয়েছে।
শুক্রবার দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে পূজার শুরু হয়। শনিবার ছিল মহাসপ্তমী পূজা। সোমবার দশমী পূজা ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে চারদিনের এ আয়োজন শেষ হবে।
মহাঅষ্টমী ও নবমীতে ধান, দূর্বা, ফুল ও বেলপাতা দিয়ে দেবীর চরণে অঞ্জলি দেন ভক্তরা।
রঘুনাথ বাজার কালি মন্দিরের পুরোহিত নারায়ণ চক্রবর্তী জানান, চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথি থেকে এ বাসন্তি পূজা শুরু হয়েছে।
বসন্তকালে অনুষ্ঠিত হয় বলে এ পূজার নাম বাসন্তী পূজা। শারদীয় দুর্গা পূজার তুলনায় এর আয়োজন কম হলেও ধর্মীয় তাৎপর্য কোনোভাবেই কম নয়।
কথিত আছে সুরত রাজা তার হারানো রাজ্য ফিরে পেতে বসন্তকালে দুর্গা দেবীর আরাধনা করেছিলেন। সেই থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন অশুভ শক্তিকে পরাভূত করতে বসন্তকালে এ পূজা করে আসছেন।