শুক্রবার গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় তারাগঞ্জ এইচ এন উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ফুলের মতো শিশুদের ফোটার যে পরিবেশ দরকার তা তারা পাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আমরা যন্ত্রের মতো তাদের মানুষ করছি। সে একটা রোবটের মতো বড় হচ্ছে।”
তিনি অভিভাবকদের তাদের সন্তানকে গল্পের বই পড়তে, কবিতা লিখতে, ছবি আঁকতে এবং খেলাধুলা করতে দেওয়ার আহ্বান জানান।
তাহলে সেসব ছেলে বা মেয়ে যে ক্লাশেই থাকুক ওই ক্লাশে মেধাবী ছাত্র বা ছাত্রী হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আর তা না হলে তারা সহজেই জঙ্গিবাদ ও অন্ধাকার জগতে প্রবেশ করবে বলে তিনি হুঁশিয়ার করেন।
এগুলো চর্চা না করলে ছেলেমেয়েদের মনটা ভোতা হয়ে যায়, তাদের মগজের ধার কমে যায় বলেও তিনি অভিভাবকদের হুঁশিয়ার করেন।
একটা দেশের সামগ্রিক উন্নতি শুধু অর্থনৈতিক অগ্রগতি দিয়ে হয় না। অগ্রগতি উন্নতি তখনই সম্পূর্ণ হয় যখন একটা উন্নত অর্থনৈতিক সমাজ গড়ে ওঠে। পাশাপাশি একটা মানবিক সমাজ গড়ে ওঠে। এ মানবিক সমাজ গড়ার কাজটা সংস্কৃতি চর্চা ছাড়া কখনই হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন নূর।
“এ কথা বলছি না যে স্কুলে লেখাপড়ার করার দরকার নেই। আমি বলছি জ্ঞানী হওয়াটা বেশি জরুরি।”
এ প্রসঙ্গে তিনি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা উল্লেখ করেন।
“বঙ্গবন্ধু জ্ঞানী ছিলেন। তিনি জেলখানায় ছিলেন, বই পড়েছেন। বাইরে ছিলেন, রবীন্দ্রনাথ তার নিত্যসঙ্গী ছিল। তিনি চীনের মাওসেতুং থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত কোনো লেখকের বই বাদ দিতেন না।”
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের পৃষ্ঠপোশকতায় এবং কাপাসিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আজিজুর রহমান পেরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন গাজীপুর-৪ আসনের সাংসদ সংস্কৃতি বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভপতি সিমিন হোসেন রিমি, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
এর আগে সিমিন হোসেন রিমি দুদিনব্যাপী শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠনটি পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।