বরিশালে প্রসূতির মৃত্যুর পর হাসপাতাল ভাংচুর

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী ও তার গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর পর হাসপাতালে ভাংচুর চালিয়েছেন তার স্বজনরা।

বরিশাল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2018, 05:31 PM
Updated : 22 March 2018, 06:08 PM

বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর স্বজনরা অপারেশন থিয়েটারে ভাংচুর চালায় বলে অভিযোগ করেন এক ইন্টার্ন চিকিৎসক।

মৃত খাদিজা আক্তার (২৩) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার পুলিশ কনস্টেবল মো. শাকিলের স্ত্রী। তাদের বাড়ি ভোলার দক্ষিণ স্বর্ণাবাদ গ্রামে।

কনস্টেবল শাকিল সাংবাদিকদের বলেন, তার স্ত্রী ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে প্রয়োজনীয় সেবা না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে তাকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

“খাদিজার অবস্থা ধীরে ধীরে অবনতির দিকে গেলেও চিকিৎসকরা তেমন কোনো খেয়াল নেননি। পরে তারা সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নিতে বলে।”

তিনি বলেন, অপারেশন থিয়েটারে গিয়ে কোনো চিকিৎসক পাওয়া যায়নি। সেখানে কর্তব্যরত সেবিকারা লুডু খেলছিলেন। তাদের ঘটনা জানালে তারা চিকিৎসকের কাছে যেতে বলেন।

“তৃতীয় তলায় গাইনি ওয়ার্ডে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কাছে গিয়ে অপারেশেন থিয়েটারে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলে তারা সিনিয়র চিকিৎসক ছাড়া যেতে পারবেন না বলে জানান।”

এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের মারধর করে বলে অভিযোগ করেন শাকিল।

পরে অপারেশন থিয়েটারেই তার স্ত্রীর মৃত্যু এবং গর্ভের সন্তানের মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।

তবে ইন্টার্ন চিকিৎসক মুশফিকুর সালিন বলেন, “ওই রোগীকে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার প্রেশার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় অবস্থা খারাপ হতে থাকলে জরুরি ভিত্তিতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়।

“আর অপারেশন টেবিলে ওঠানোর আগেই তার মৃত্যু হয়। যার কারণে বাচ্চাটিকেও বাঁচানো যায়নি।”

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর স্বজনরা অপারেশন থিয়েটার ভাংচুর ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মারধর করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এতে এক ইন্টার্ন চিকিৎসক আহত হয়েছে বলে জানান সালিন।