পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মো. নিজাম উদ্দিন জানান, এই দুটি ছানা মিলিয়ে বর্তমানে পার্কে উটপাখি পরিবারে সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল নয়টিতে।
“বাচ্চা দুটো সুস্থ আছে। দর্শনার্থীরা যাতে বিরক্ত না করে, সেজন্য নতুন বাচ্চা ও মা পাখিকে আপাতত একটি বেষ্টনীর মধ্যে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”
নিজাম উদ্দিন জানান, সাধারণত ২/৩ বছর বয়সে উটপাখি প্রজননক্ষম হয়। প্রতিটি মেয়ে পাখি ৭/৮টি করে ডিম দেয়। ডিম পাড়ার সময় হলে নখ দিয়ে মাটি খুঁড়ে সেখানে ডিম পাড়ে। প্রতিটি ডিম ৫-৬ ইঞ্চির মত লম্বা এবং এক থেকে দেড় কেজি ওজনের হয়। দিনে মেয়ে এবং রাতে পুরুষ পাখিটি পর্যায়ক্রমে ডিমে তা দেয়।
তিনি বলেন, এবার একটি মাদি পাখি আটটি ডিম দেওয়ার পর তাতে তা দিতে শুরু করে। ৪২ দিন তা দেওয়ার পর গত সোমবার একটি ডিম ফুটে ছানা বেরিয়ে আসে। বুধবার আরও দুটি ডিম ফোটে। তার মধ্যে একটি ছানা ছিল মৃত।
পার্কের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক মো. সরোয়ার হোসেন খান জানান, আকারে সবচেয়ে বড় উট পাখি আবদ্ধ অবস্থায় ৬০ বছর বাঁচতে পারে। আর প্রাকৃতিক পরিবেশে বাঁচে ৪০ থেকে ৪৫ বছর।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন, মরুর দেশের উটপাখির ডিম ফুটে প্রথম যে বাচ্চাটি হয়েছে, সাফারি পার্কের পরিবেশে তা ভালভাবেই বেড়ে উঠছে।ভবিষৎতে উটপাখি পরিবারের সদস্য আরও বাড়বে বলে তারা আশা করছেন।