শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়া তাদের পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা না দিলে তাদের আরও দুই মাস কারাগারে থাকতে হবে।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন - সদর উপজেলার ঘুঘুরাকান্দি ইউনিয়নের হাওড়াপাড়া গ্রামের আশেদ আলীর ছেলে মো. আরিফ মিয়া (২২) ও তার সহযোগী একই গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে লাল চান মিয়া (২০)।
রায় ঘোষণার সময় তারা কাঠগড়ায় ছিলেন।
শেরপুর শিশু আদালতের পিপি গোলাম কিবরিয়া বুলু মামলার নথির বরাতে বলেন, আরিফ মিয়া তার এলাকার এক স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে ব্যর্থ হয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। গত বছরের ২৮ মার্চ রাতে ওই ছাত্রী ঘরে ঘুমিয়ে থাকার সময় আরিফ ও তার সহযোগী লাল চান দরজার বান কেটে ভেতরে ঢোকেন।
“ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে আরিফ তাকে ছুরি মেরে আহত করেন। ছাত্রীর চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে গেলে তারা পালিয়ে যান।”
এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মামা বাদী হয়ে আরিফ ও লাল চানকে আসামি করে নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন জানিয়ে পিপি বলেন, শেরপুর থানার এসআই মো. আনছার আলী তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। এ মামলায় আদালত নয়জনের সাক্ষ্য নেয়।
আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মো. আলমগীর কিবরিয়া কামরুল।