উপজেলার পালং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সদস্য আবুল হাসনাত চৌধুরী আবুলু বলছেন, প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইহসান মানিক গত শনিবার ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রকে মারধর করলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হয়।
১২ বছর বয়সী ছেলেটির বাড়ি রত্নাপালং ইউনিয়নের টেকপাড়ায়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেতের বাড়ির চিহ্ন দেখা গেছে।
আবুল হাসনাত বলেন, শুক্রবার বিকালে ছেলেটি তার বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে স্কুল প্রাঙ্গণের একটি সিসি ক্যামেরা খুলে ভেঙে ফেলে।
শনিবার সকালে প্রধান শিক্ষক স্কুলে গিয়ে সিসি ক্যামেরা ভাঙা অবস্থায় পান এবং পরে সংরক্ষিত ফুটেজ দেখে তিন ছাত্রকে শনাক্ত করেন।
“পরে প্রধান শিক্ষক ওই তিন ছাত্রকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। তারা ক্যামেরা ভাঙচুরের কথা অস্বীকার করলে প্রধান শিক্ষক তাদের মধ্যে একজনকে বেত দিয়ে মারধর করেন।”
“শনিবার সকালে স্কুলে হেড স্যার আমাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করলে আমরা পালিয়ে যাই। পরে স্কুলের অফিস সহকারীরা আমাদের তিনজনকে ধরে হাত পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলে।এক পর্যায়ে দুটি বেত দিয়ে আমাকে মারা হয়।”
বাকি দুই ছাত্রের অভিভাবক পরে স্কুলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে বলে জানায় ওই ছাত্র। তার সঙ্গে ক্যামেরা ভাঙচুরে থাকা বাকি দুজন ওই স্কুলেরই সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
উখিয়া উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা (কমিশনার) একরামুল হক সিদ্দিক বলেন, ঘটনাটি তারা শুনেছেন। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে প্রধান শিক্ষককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।