অপহৃতরা হলেন- হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা ও কেন্দ্রীয় সদস্য দয়াসোনা চাকমা।
রোববার এক বিবৃতিতে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের জেলা সংগঠক সচল চাকমা ঘটনাটির জন্য ইউপিডিএফ ভেঙে তৈরি ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) নামের আরেকটি সংগঠনকে দায়ী করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সকাল সোয়া ৯টার দিকে সন্ত্রাসীরা রাঙামাটি সদরে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়ক থেকে কয়েকশ গজ দূরে ধর্ম সিং চাকমার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালালে তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে দুর্বৃত্তরা ছাত্রদের একটি মেসে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং মন্টি চাকমা ও দয়াসোনা চাকমাকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের পূর্ব পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়।
তবে গুলিবিদ্ধ ধর্মসিং কোথায় আছে জানায়নি ইউপিডিএফ।
এবিষয়ে রাঙামাটির কোতয়ালি থানার অফিসার ওসি সত্যজিৎ চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তারা ঘটনাটি শুনেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে অপহৃতদের মুক্তির দাবিতে ইউপিডিএফ সমর্থিত সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি তাৎক্ষণিকভাবে রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে।
ছয় মাস আগে ইউপিডিএফের সাবেক কিছু নেতাকর্মী মিলে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) নামে পৃথক আরেকটি সংগঠন গঠন করে। এই সংগঠনের হামলায় এযাবত ছয়জন মূল ইউপিডিএফ কর্মী নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে রোববারের ঘটনার বিষয়ে ইউপিডিএফের (গণতান্ত্রিক) কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।