বিমান বিধ্বস্তে নিহত প্রিয়কের বাড়িতে ইউএস-বাংলার কর্মকর্তারা

নেপালে বিমান বিধ্বস্তে নিহত ফারুক হোসেন প্রিয়কের স্বজনদের সমবেদনা জানাতে গাজীপুরে তার বাড়ি গিয়েছেন ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের দুই কর্মকর্তা।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2018, 11:54 AM
Updated : 17 March 2018, 12:18 PM

শনিবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরের নগর হাওলা গ্রামে প্রিয়কের বাড়িতে যান ইউএস-বাংলার নির্বাহী পরিচালক মো. গোলাম তাওহীদ ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম।

গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থার উড়োজাহাজটির যাত্রী হয়েছিলেন আলোকচিত্রী প্রিয়ক, তার স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি ও মেয়ে তামারা। সহযাত্রী হয়েছিলেন প্রিয়কের বন্ধু ও মামাত ভাই মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা।

দুর্ঘটনার পর অ্যানি, মেহেদী ও তার স্ত্রী স্বর্ণাকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও প্রাণ হারান প্রিয়ক ও তার মেয়ে তামারা।

কামরুল ইসলাম বলেন, শুধু সমবেদনা জানাতেই তারা প্রিয়কের গ্রামের বাড়িতে এসেছেন।ইউএস বাংলা পর্যায়ক্রমে বিধ্বস্ত বিমানের সকল যাত্রী, পাইলট ও ক্রুদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানাবে।

স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে ফারুক হোসেন প্রিয়ক

মরদেহ আনতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, সোমবারের পর বলা যাবে মরদেহগুলো কবে আসবে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মরদেহের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নেপাল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবে। পুলিশ নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাসে তা বুঝিয়ে দিলে দূতাবাস বাংলাদেশ পুলিশের কাছে তা হস্তান্তর করবে।

ইউএস-বাংলা প্রিয়কসহ ওই দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্বজনদের পাশে থাকবে এবং আহতদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে বলে জানান তিনি।

এছাড়া নিয়মানুযায়ী জীবনবীমার টাকাসহ বিভিন্ন খরচও পরিশোধ করবে বলে বিমান সংস্থাটির এ কর্মকর্তা জানান।

তবে ওই টাকা কবে দেবে এবং তার পরিমাণ কত হবে তা জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি।

ইউএস-বাংলার দুই কর্মকর্তা সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করেন। তবে তখন বাড়ি ছিলেন না প্রিয়কের মা ফিরোজা খাতুন। বিমান বিধ্বস্তে আহত আলিমুন নাহার অ্যানি, মেহেদী হাসান ও মেহেদীর স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণাকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি।

এ সময় মেহেদীর বাবা তোফাজ্জল হোসেন, অ্যানির বাবা সালাহ্ উদ্দিন মাহমুদ খসরুর সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জানান ইউএস-বাংলার দুই কর্মকর্তা।