শনিবার দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুরের নগর হাওলা গ্রামে প্রিয়কের বাড়িতে যান ইউএস-বাংলার নির্বাহী পরিচালক মো. গোলাম তাওহীদ ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থার উড়োজাহাজটির যাত্রী হয়েছিলেন আলোকচিত্রী প্রিয়ক, তার স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি ও মেয়ে তামারা। সহযাত্রী হয়েছিলেন প্রিয়কের বন্ধু ও মামাত ভাই মেহেদী হাসান ও তার স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা।
দুর্ঘটনার পর অ্যানি, মেহেদী ও তার স্ত্রী স্বর্ণাকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও প্রাণ হারান প্রিয়ক ও তার মেয়ে তামারা।
কামরুল ইসলাম বলেন, শুধু সমবেদনা জানাতেই তারা প্রিয়কের গ্রামের বাড়িতে এসেছেন।ইউএস বাংলা পর্যায়ক্রমে বিধ্বস্ত বিমানের সকল যাত্রী, পাইলট ও ক্রুদের বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানাবে।
ইউএস-বাংলা প্রিয়কসহ ওই দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্বজনদের পাশে থাকবে এবং আহতদের চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া নিয়মানুযায়ী জীবনবীমার টাকাসহ বিভিন্ন খরচও পরিশোধ করবে বলে বিমান সংস্থাটির এ কর্মকর্তা জানান।
তবে ওই টাকা কবে দেবে এবং তার পরিমাণ কত হবে তা জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি।
ইউএস-বাংলার দুই কর্মকর্তা সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান করেন। তবে তখন বাড়ি ছিলেন না প্রিয়কের মা ফিরোজা খাতুন। বিমান বিধ্বস্তে আহত আলিমুন নাহার অ্যানি, মেহেদী হাসান ও মেহেদীর স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণাকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি।
এ সময় মেহেদীর বাবা তোফাজ্জল হোসেন, অ্যানির বাবা সালাহ্ উদ্দিন মাহমুদ খসরুর সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জানান ইউএস-বাংলার দুই কর্মকর্তা।