সদর থানার ওসি মাহাতাব উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে শহরের রাহাতের মোড়ে সন্দেহজনক ঘোরাঘুরির সময় তাদের আটক করা হয়।
তাদের মধ্যে মো. ইলিয়াস নামে এক বাংলাদেশি রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ইলিয়াস কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার জাগিরাঘোনা গ্রামের তোফায়েল আহমেদের ছেলে।
আটক চার রোহিঙ্গা হলেন – মিনারা, বেবি, সোনা আলী (৬৫) ও তার মেয়ে রাশিদা।
তাদের বাড়ি মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ইলিয়াস বলেন, “মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে এই নাগরিকরা বাংলাদেশে আসেন। তারা কক্সবাজারের টেকনাফে লেদামেকাশি ক্যাম্পে আশ্রয় নেন। সেখানে তাদের সাথে আমার পরিচয় হয়।
“পরে সোনা আলী ও তার মেয়ে রাশিদা বাংলাদেশ ঘুরে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। আমি তাদের নিয়ে খানজাহানের মাজার দেখতে আসি। বুধবার সন্ধ্যায় আমরা মাজার দেখে শহরের একটি হোটেলে উঠি। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ আমাদের থানায় নিয়ে আসে।”
তবে ওসি মাহাতাব বলেন, ইলিয়াস ওই রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দোভাষি হিসেবে কাজ করছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন।
“প্রথমে তিনি মিনারা ও বেবিকে চেনেন না বলে দাবি করলেও পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে চেনেন বলে স্বীকার করেছেন।”
তাদের টেকনাফে রোহিঙ্গা শিবিরে ফেরত পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান ওসি মাহাতাব উদ্দিন।