এমপির বাড়িতে ডাকাতি

ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী) আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2018, 06:25 PM
Updated : 13 March 2018, 06:40 PM

দবিরুল তার দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে গত ৯ মার্চ চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক গেছেন বলে পরিবার জানিয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, মঙ্গলবার ভোরে সংসদ সদস্যের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গোয়ালকাড়ী ডাঙ্গীবাজার এলাকার বাড়িতে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে।

ডাকাতরা সংসদ সদ্যর স্ত্রী মোমিনা খাতুন, গৃহকর্মী হাসি বেগম ও নৈশপ্রহরী দবিরুল ইসলাম ওরফে দারাজ ও দীপক কুমার রায়কে আগ্নোস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সোনার গয়না ও টাকা নিয়ে গেছে বলে তিনি জানান।

তবে কী পরিমাণ টাকা বা গয়না লুট হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।

দবিরুল ইসলামের বাড়িটি তিনতলার। তার দুই ছেলে। এক ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সুজন ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোমিনুল ইসলাম সুমন।

দবিরুল ইসলামের ছোট ভাই মোহাম্মদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ডাকাতরা পুরো বাড়ি তছনছ করে ফেলেছে। তারা ঘরের আলমারি ও ওয়ার্ডরোব ভেঙে সোনার গয়না ও টাকা নিয়ে গেছে।

“সাংসদ ও তার দুই ছেলে দেশের বাইরে থাকায় লুট গয়না বা টাকার পরিমাণ নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।”

পুরো বাড়িটি সিসি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ফুটেজ দেখে মনে হচ্ছে ১৭ থেকে ২০ জন ডাকাত বাড়ির ভেতরে ঢুকেছিল।

সংসদ সদস্যর স্ত্রী মোমিনা খাতুনও লুটের পরিমাণ সম্পর্কে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। 

গৃহপরিচারিকা হাসি বেগম বলেন, তিনি মোমিনা খাতুনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরবেলা হঠাৎ করে ঘরের দরজায় আঘাতের শব্দ শুনে তার ঘুমে ভাঙে।

“দরজা খুলে দিলে পাঁচ-ছয়জন ডাকাত ঘরে ঢুকে ভয়ভীতি দেখায়। এরপর ডাকাতরা আলমারি ভেঙে জিনিসপত্র তছনছ করে।”

ডাকাতরা বাড়ির সীমানা প্রাচীর পেরিয়ে নৈশপ্রহরী দবিরুল ইসলাম ও দীপক কুমার রায়কে আটকে করে ভেতরে ঢোকে বলে ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে অভিযান চালিয়ে লোলপুকুর এলাকার একটি বাঁশঝাড় থেকে লোহার হাতল, মুখোশ, কাপড়চোপড়, গয়নার বাক্স ও দুটি নিষ্ক্রিয় ককটেল উদ্ধার করেছে।

রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আবদুল মজিদ, ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক মো. আখতরুজ্জামান ও পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পুলিশ সুপার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। আশা করি খুব শিগগিরই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা যাবে। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কর্মকর্তারা তদন্ত শুরু করেছেন।”

এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।