সকালে টেকনাফের শামলাপুর পুরানপাড়া ঘাটের জেলেদের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
নাটোরে বিস্ফোরকসহ ৪ ‘জেএমবি সদস্য’ আটক
নাটোর সদর উপজেলায় এক প্রবাসীর বাড়ি ঘিরে গভীর রাতে অভিযানের পর সকালে বিস্ফোরকসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
Published : 13 March 2018, 05:26 AM
Updated : 13 March 2018, 05:41 AM
জেলার পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলছেন, গ্রেপ্তার সবাই জঙ্গি দল জেএমবির সদস্য।
সোমবার রাতে উপজেলার দিঘাপতিয়া চক ফুলবাড়ি এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটকরা হলেন নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার চাপাপুকুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪০), একই গ্রামের মৃত ভিকু মণ্ডলের ছেলে ফজলুর রহমান (৩৬), সিংড়া উপজেলার আরকান্দি পশ্চিমপাড়ার ইউনুস আলীর ছেলে আনিছুর রহমান (৩৮) ও নলডাঙ্গা উপজেলার খোলাবাড়িয়া গ্রামের ফোজলার রহমানের ছেলে জাকির হোসেন ওরফে জাকির মাস্টার (৩৪)।
সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে দুবাই প্রবাসী ইকবাল সিকদারের বাড়িটি ঘিরে পুলিশের অভিযান শুরু হয়। মঙ্গলবার সকালে অভিযান শেষে ইকবালের চাচাতো ভাই ও বাড়ির কেয়ারটেকার রফিক সিকদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
ঘটনার বর্ণনায় পুলিশ সুপার বিপ্লব বলেন, জেএমবি সদস্যদের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশ বাড়িটি ঘিরে ফেলে। এ সময় মাইকে বাড়ির বাসিন্দাদের বের হয়ে আসতে বলা হয়। ভেতর থেকে কোনো সাড়া না মেলায় পুলিশ বাড়িটি লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়ে।
পরে সেখান থেকে চারজনকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সকালে ওই বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি হাতবোমা, কিছু পেট্রোল, একটি জারকিন, তিনটি ধারালো অস্ত্র, একটি ল্যাপটপ,পাঁচটি মোবাইলফোন, একটি মডেম, পাঁচটি সিম, কিছু কাঁচের বোতল ও ফসফরাস জব্দ করা হয় বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
এছাড়া একটি ঘর থেকে শহরের বলারিপাড়ার পথকলি বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিমের বেশ কিছু ভিজিটিং কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
বিপ্লব বলেন, রেজাউল ও জেলা পুলিশের কন্সটেবল বুলবুল হোসেন যৌথভাবে ওই বিদ্যালয়টি পরিচালনা করেন। এ নিয়ে রেজাউল করিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পাশের বাড়ির এক ব্যক্তি জানান, বাড়িটিতে দিঘাপতিয়া এমকে ডিগ্রি কলেজের ছাত্র আমীর হামজা থাকতেন। তিনি স্কাউট সদস্য ছিলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, বাড়িটির চারদিকে চওড়া দেওয়াল, ভেতরে অন্ধকার। খাট বা চৌকি নেই। সব মিলিয়ে বাড়িটি জঙ্গি বসবাসের উপযোগী।
তিনি বলেন, বাড়িটি দেখাশোনা করেন ইকবালের চাচাতো ভাই রফিক সিকদার। তাদের নাটোর মসজিদ মার্কেটে ‘দুবাই মোবাইল’ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
সবশেষ সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পুলিশ সুপারসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাড়িটিতে অবস্থান করছিলেন। তারা আলামত জব্দ ও আশেপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হাই জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে আটক ব্যক্তিরা জেএমবি সদস্য। তাদের দেওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
এ সম্পর্কিত খবর
৬৭টি ইয়াবা পাওয়ার অভিযোগে নান্নু খানকে আসামি করে মামলা করেছিলেন বরিশালের উজিরপুর মডেল থানায় এসআই শেখ ফরিদ।
প্রচণ্ড গরমে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা স্বজনদের।
“রাতে কেনাকাটা শেষ করে মোবাইলে ফোন দিয়ে তারা বলে বাড়িতে আসতেছে; কিন্তু অনেকটা সময় গেলেও না আসায় আমি মোবাইলে কল দেয়। কিন্তু তারা আর ফোন রিসিভ করেনি।”
