বিধ্বস্ত উড়োজাহাজে ছিলেন রাগীব-রাবেয়ার  ১৩ নেপালি শিক্ষার্থী

নেপালের কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে করে সিলেটের জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজের ১৩ শিক্ষার্থী দেশে ফিরছিলেন বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2018, 01:11 PM
Updated : 12 March 2018, 03:22 PM

কলেজের অধ্যক্ষ আবেদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিমানে তাদের ১৩ জন নেপালি শিক্ষার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে ১১ জন ছাত্রী। আর দুইজন ছাত্র।

তারা হলেন - শ্বেতা থাপা, পূর্ণিমা লোহানি, মিলি মাহারজান, আশনা শাক্য, চারু বড়াল, সামিরা ব্যঞ্জকর, আলজিনা বড়াল, আঙ্গিলা শ্রেষ্ঠা, নিগা মাহারজান, প্রিন্সি ধামি, সঞ্জয় মাহারজান, সঞ্জয় পোড়েল, সারুনা শ্রেষ্ঠা।

বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

যাত্রীদের মধ্যে বাংলাদেশের ৩২ জন, নেপালের ৩৩ জন, চীনের একজন ও মালদ্বীপের একজন যাত্রী ছিলেন বলে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

অধ্যক্ষ বলেন, “ওই শিক্ষার্থীরা এমবিবিএস ফাইনাল পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরছিলেন। তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।”

ঘটনার পর মঙ্গলবার এক দিনের জন্য মেডিকেল কলেজ বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী তিন দিন শোক কর্মসূচি পালন করবে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কালোব্যাজ ধারণ ও কলেজে পতাকা অর্ধনিমিত রাখা।

১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই নেপালি শিক্ষার্থী এখানে পড়তে আসেন। বর্তমানে ২৫০ জনের মত নেপালি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন বলে তিনি জানান।

কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার রাজ কুমার ছেত্রিকে উদ্ধৃত করে দেশটির ইংরেজি নিউজ পোর্টাল মাই রিপাবলিকা বলেছে, ৭১ জন আরোহীর মধ্যে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে তারা আশঙ্কা করছেন। তারা এখনও উদ্ধার কাজ শেষ করতে পারেননি।

নেপালের একজন সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সও একই খবর দিয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মী ও নেপাল সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।     

কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই উড়োজাহাজের যাত্রীদের মধ্যে ১৭ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জরুরি যোগাযোগের জন্য একটি হটলাইন খুলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।  

ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ বলছে, ড্যাশ-৮ কিউ৪০০ মডেলের ওই উড়োজাহাজে ৭১ জন আরোহীর মধ্যে ৬৭ জন ছিলেন যাত্রী, বাকিরা ক্রু।

ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস ২১১ ঢাকার শাহজালাল থেকে রওনা হয় বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২টা ৫২ মিনিটে। নেপাল সময় বেলা ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুতে নামার সময় পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারালে উড়োজাজটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়।