বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজ উদ্দিন কলাভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে মঈনুল ইসলাম নামে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ওই শিক্ষার্থী জানান।
অনুশীলন নাট্যদলের কর্মী মঈনুল রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মঈনুল বলেন, “মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে আমি বন্ধুদের নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে কেন বসে আছি জানতে চায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা ঝলক সরকারসহ কয়েকজন। তখন ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কানন আমাকে চোখে কিল-ঘুষি মারেন।”
গত বছরের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে বাস ভাংচুরের ছবি তোলার সময় সাংবাদিক আরাফাত রহমানকে মারধরের ঘটনায় বহিষ্কৃত হন কানন। কয়েক মাস পর এ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এ নিয়ে কানন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কথা কাটাকাটি করতে দেখে আমি মীমাংসা করে দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। এ সময় আমার ছোট ভাইদের চড়-থাপ্পর দিয়ে সমাধান করে দিয়েছি।”
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, “দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখছি। সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন হলে নেওয়া হবে।”
অনুশীলন নাট্যদলের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক বলেন, “আমার সংগঠনের কর্মীর যদি দোষ থেকে থাকে তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ছাত্রলীগের উচিত হবে ওই নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।”