এ বিষয়ে মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষার্থীর মা ফারজানা আকতার।
সাবেদুল ইসলাম খান (১১) নামের ওই শিক্ষার্থী সিরাজগঞ্জ শহীদ ক্যাডেট কোচিং ও মডেল স্কুলের শিক্ষার্থী।
অভিযোগে ফারজানা আকতার বলেন, তার ছেলে টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় ১০/১২ দিন কোচিং সেন্টারে অনুপস্থিত ছিল।
“মঙ্গলবার সকালে সে ক্লাস করতে গেলে ওই সেন্টারের পরিচালক হাসানুজ্জামান রঞ্জু তাকে সহপাঠীদের সামনেই চুল টেনে ধরে বেশ কয়েকটি থাপ্পড় মারেন। এরপর লাঠি দিয়েও পেটান।”
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে রঞ্জু সাহেব উল্টো তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং এক পর্যায়ে ছেলেকে কোচিং থেকে বের করে দেওয়ারও হুমকি দেন বলে বলে ফারজানার ভাষ্য।
ছেলেকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. শামীম আহম্মেদ বলেন, শিশুটির গালে বেশ কটি থাপ্পড়ের দাগ রয়েছে। চিকিৎসা সেবা দিয়ে দুপুরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, “এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার মোহাম্মদ রায়হান বলেন, “ওই কোচিং সেন্টারের পরিচালকে বুধবার আমার অফিসে ডাকতে সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেওয়া করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে শহীদ ক্যাডেট কোচিং ও মডেল স্কুলের সিরাজগঞ্জ শাখার পরিচালক হাসানুজ্জামান রঞ্জু বলেন, “ছেলেটি যে অসুস্থ ছিল সেটি জানতাম না। তাকে একটি চড় মেরেছি। বিষয়টি নিয়ে ওই শিক্ষার্থীর বাবার সাথে কথা বলেছি।”