মঙ্গলবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুল মান্নান এই রায় দেন।
দণ্ডিত অপর দুজন হলেন জহিরুল ইসলাম (৩৫) ও মো. ইউনুছ (৩৮)। এদের মধ্যে ইউনুছ পলাতক রয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত সবার বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায়।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২০ জুলাই রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে রসু খাঁ ও অপর আসামিরা ফরিদগঞ্জ উপজেলার মধ্য হাঁসা গ্রামের নির্জন মাঠে পারভীন আক্তার নামে এক নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরদিন স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
পারভীন আক্তার ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা ইউনিয়নের পালতালুক গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে পারভীনের বুকে ও দুই উরুতে সিগারেট দিয়ে পোড়ানোর ২০টি ক্ষতচিহ্ন ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনার পরদিন (২১ জুলাই) ওই সময় ফরিদগঞ্জ থানার এসআই মীর কাশেম আলী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
ওই বছরের ৭ অক্টোবর ফরিদগঞ্জের গাজীপুর বাজার উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মসজিদের ফ্যান চুরির ঘটনায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর এক এক করে তার সব হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশ পায়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সায়েদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রসু খাঁ নিজের মুখে ১১ নারীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।
তিনি জানান, পারভীনের লাশ উদ্ধারের সময় পরিচয় না পাওয়ায় অজ্ঞাত হিসেবে মামলা করা হয়। পরে দুই সহযোগীসহ রসু খাঁকে পারভীন হত্যা মামলায় আসামি করা হয়।
রসু খাঁ আটকের আড়াই মাস আগে পারভীনকে হত্যা করেছে এবং রসু যাদের হত্যা করেছে তারা সবাই ছিল গার্মেন্টসকর্মী বলে সায়েদুল জানান।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাবিবুল ইসলাম তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, নয় বছর চলাকালে এ মামলায় ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
রসু খাঁর বিরুদ্ধে এ মামলা ছাড়াও আদালতে আরও সাতটি মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।
রসু খাঁ (৪৫) চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের মুন খাঁ ওরফে আবু খাঁর ছেলে, জহিরুল পার্শ্ববর্তী ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির মো. মোস্তাফার ছেলে এবং ইউনুস একই গ্রামের মৃত মিসির আলীর ছেলে।