রোববার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বর থেকে কাউছার ওরফে কাশেম ওরফে কাশু ওরফে ফরিদ (২০) নামের ওই যুবক পালিয়ে যান বলে কোর্ট ইন্সপেক্টর রুহুল ইসলাম জানান।
কোর্ট সাব-ইন্সপেক্টর আহম্মদ জানান, নরসিংদী মডেল থানার ডাকাতি ও জঙ্গি মামলার আসামি কাউছার ২০১৬ সালের এপ্রিল থেকে নরসিংদী জেলা হাজতে ছিলেন।
“রোববার আদালতে হাজিরার তারিখে কোর্ট পুলিশ তাকে জেলা কারাগার থেকে পৌনে ১০টার দিকে কোর্ট হাজতে এনে রাখে।
“বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে পুলিশ কাউছারকে হাতকড়া পড়িয়ে কোর্টে নেওয়ার সময় পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সে পালিয়ে যায়।”
এসআই আহম্মদ বলেন, আদালত কক্ষে প্রবেশের পর পুলিশ কাউছারকে খুঁজে না পেলে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।
কাউছার সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বিনানয় গ্রামের কলিমের ছেলে। তার পরিবারের সদস্যরা এখন ঢাকা নগরীর বনানী থানার মহাখালী সাততলা বস্তিতে থাকেন।
আসামী কাউছারের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর পুলিশের বনানী থানায় অস্ত্র আইনের একটি এবং নরসিংদী থানায় ডাকাতি ও জঙ্গি সংশ্লিষ্টতাসহ তিনটি মামলা রয়েছে বলে এসআই আহম্মদ জানান।
নরসিংদীর পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বলেন, কোর্ট থেকে আসামি পলায়নের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।