মালিতে নিহত কালামের গ্রামের বাড়িতে শোকের মাতম

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে মাইন বিস্ফোরণে নিহত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর বাংলাদেশি সেনা সদস্য আবুল কালামের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। 

পিরোজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 March 2018, 05:02 AM
Updated : 1 March 2018, 07:28 AM

সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার কালাম পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের উত্তর কলারদোয়ানিয়া গ্রামের মো. মকবুল হোসেনের ছেলে।

কালামসহ চার বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর বুধবার রাতে কলারদোয়ানিয়ায় পৌঁছালে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। কালামের স্ত্রী ও দুই মেয়ের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে গ্রামের পরিবেশ।

কালামের চাচাতো ভাই মো. সাইফুল্লাহ জানান, ওয়ারেন্ট অফিসার আবুল কালাম ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সেনাবাহিনীতে যোগদান করে এবং ২০১৭ সালের ২০ মে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগদান করে মালিতে যায়।

তার লাশটি দ্রুত দেশে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর ও তার স্ত্রী, সন্তানসহ পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান সাইফুল্লাহ।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন মিনুসমা জানিয়েছে, বুধবার মালির মোপ্তি এলাকার বনি ও দোয়েন্তজা শহরের সংযোগ সড়ক দিয়ে শান্তিরক্ষীরা গাড়িতে করে যাওয়ার পথে বিস্ফোরণের ওই ঘটনা ঘটে।

রাস্তার পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে চার বাংলাদেশি সেনা সদস্য নিহত হন; আহত হন আরও চার বাংলাদেশি।

নিহত বাকি তিনজন হলেন- সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল আকতার, ময়মনসিংহ (৯ ফিল্ড রেজি. আর্টি.); সৈনিক রায়হান, পাবনা (৩২ ইবি) এবং সৈনিক (পাচক) জামাল, চাপাইনবাবগঞ্জ (৩২ ইবি)।

আহত চারজন হলেন- কর্পোরাল রাসেল, নঁওগা (৩২ ইবি); সৈনিক আকরাম, রাজবাড়ি (৩২ ইবি); সৈনিক নিউটন, যশোর (১৭ বীর) এবং সৈনিক রাশেদ, কুড়িগ্রাম (৩২ ইবি)। তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে বাংলাদেশের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর-আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে দেশটিতে বিদ্রোহীদের হামলায় তিন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত এবং চারজন আহত হন।