জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী জানান, ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল দুই মাস বিভিন্ন নদ-নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এর মধ্যে চাঁদপুরে রয়েছে মেঘনা নদীর ৬০ কিলোমিটার। আর লক্ষ্মীপুরে রয়েছে এ নদীর আরও ৪০ কিলোমিটার।
চাঁদপুরে মেঘনায় মাছ ধরে জীবিকা চালায় প্রায় ৪৬ হাজার জেলে। মৎস বিভাগ প্রচারণা চালিয়ে তাদের মাছ ধরতে নিরুৎসাহিত করার পাশাপাশি শাস্তিও ঘোষণা করেছে।
মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বলেন, নিষিদ্ধ সময়ে কেউ মাছ ধরলে জাল পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা জরিমানা ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। জেল-জরিমানা একাধিকবারও হতে পারে।
নিষিধেজ্ঞা বাস্তবায়নে কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ ও জেলা টাস্কফোর্স নদীতে সব সময় টহল দেবে বলে তিনি জানান।
এ সময় বেকার হয়ে পড়া জেলেদের জন্য সরকার কিছু কর্মসংস্থান ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে।
আসাদুল বলেন, চাঁদপুরে তালিকাভুক্ত প্রায় ৪২ হাজার জেলেকে চার মাসের জন্য প্রতিমাসে ৪০ কেজি করে চার মাস চাল দেওয়া হবে। আর প্রায় এক হাজার জেলের জন্য সেলাই মেশিন ও রিকশা-ভ্যান দেব সরকার।
তবে প্রণোদনা খুবই সামান্য বলে জেলেরা জানিয়েছেন।
সদর উপজেলার জেলে হাবু ছৈয়াল বলেন, যে চাল দেওয়া হয়, তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন। আর শুধু চাল দিয়ে তো সংসার চলে না। আবার ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়।
হাইমচর উপজেলার জেলে মাহবুব আর্থিক সহায়তার চেয়ে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে ভাল হয় বলে মনে করেন।
তিনি বলে, “এ সময়টা আমাদের ধারদেনা করে চলতে হয়। এই দুই মাস যদি সকল জেলের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে জেলেরা একটা সুবিধা পেতে পারে।”
চাঁদপুর কান্ট্রি ফিশিং বোর্ড মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম মল্লিকও একই কথা বলেন।
“কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারলে জেলেরা খুব উপকৃত হত।”