নেত্রকোণায় ৮ জনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে নেত্রকোণার একটি আদালতে।

নেত্রকোণা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2018, 12:38 PM
Updated : 28 Feb 2018, 12:40 PM

বুধবার নেত্রকোণার বিচারিক হাকিম সৈয়দ আব্দুল্লাহ-আল-হাবিবের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন কেন্দুয়া উপজেলার হারুলিয়া গ্রামের শিব্বির আহমেদ।

মামলার বাদী শিব্বির আহমেদ

আদালত আগামী ৭ মার্চ মামলার বিষয়ে আদেশের জন্যে দিন ধার্য করেছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী মো. শহিদুল্লাহ।

আসিামিদের মধ্যে তিনজন হলেন হারুলিয়া গ্রামের আবু আশরাফ মিসবাহ উদ্দিন (৭৭), মহিউদ্দিন আহমেদ (৭০) ও গাজী রহমান ওরফে আলতু মিয়া (৮০)।

বাকি পাঁচজনকে অজ্ঞাত পরিচয় দেখানো হয়েছে।

মামলার নথির বরাত দিয়ে আইনজীবী মো. শহিদুল্লাহ জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন শান্তি কামিটি গঠন করেছিলেন। পরে তারা এলাকায়  রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস বাহিনী গঠন করে নিরীহ মানুষ হত্যা, নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ চালান।  

অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের শুরুর সময় বাংলা ১৩৭৮ সালের ৭ ভাদ্র দুপুরে আসামিরা পাক সেনাদের নিয়ে কেন্দুয়ার চিথোলিয়া পাল বাড়িতে আগ্নিসংযোগ এবং আশুতোষ পালসহ সাতজনকে গুলি করে হত্যা করেন। একই দিন গোপালাশ্রম গ্রামের ধর বাড়ি ও ডাক্তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন।

অ্যাডভোকেট মো. শহিদুল্লাহ

শহিদুল্লাহ বলেন, এর পাঁচ দিনের মাথায় ১২ ভাদ্র আসামিরা এলাকার চিকিৎসক খগেন্দ্র বিশ্বাসসহ চারজনকে ধরে ধোপাগাতি গ্রামের জামে মসজিদের সামনে ডোবায় রাজী নদীর নালায় নিয়ে হত্যা করে ফেলে রাখেন। একই দিন এলাকায় বহু বাড়ি-ঘরে আগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ ও ধর্ষণ চালান।

“ওই দুই দিনই আসামি ও পাকসেনারা যৌথভাবে এ হামলা চালায়। এতে বহু নারী-পুরুষ-শিশু আহতও হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।”

তিনি জানান, সে সময় আহত হয়ে এখনও শরীরে গুলি রয়েছে রশিদা আক্তারের। তাকেসহ ৫০ জনকে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে।

আসামি মহিউদ্দিন আহমেদ কেন্দুয়া উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি এবং কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য।