বুধবার নেত্রকোণার বিচারিক হাকিম সৈয়দ আব্দুল্লাহ-আল-হাবিবের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন কেন্দুয়া উপজেলার হারুলিয়া গ্রামের শিব্বির আহমেদ।
আসিামিদের মধ্যে তিনজন হলেন হারুলিয়া গ্রামের আবু আশরাফ মিসবাহ উদ্দিন (৭৭), মহিউদ্দিন আহমেদ (৭০) ও গাজী রহমান ওরফে আলতু মিয়া (৮০)।
বাকি পাঁচজনকে অজ্ঞাত পরিচয় দেখানো হয়েছে।
মামলার নথির বরাত দিয়ে আইনজীবী মো. শহিদুল্লাহ জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন শান্তি কামিটি গঠন করেছিলেন। পরে তারা এলাকায় রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস বাহিনী গঠন করে নিরীহ মানুষ হত্যা, নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ চালান।
অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের শুরুর সময় বাংলা ১৩৭৮ সালের ৭ ভাদ্র দুপুরে আসামিরা পাক সেনাদের নিয়ে কেন্দুয়ার চিথোলিয়া পাল বাড়িতে আগ্নিসংযোগ এবং আশুতোষ পালসহ সাতজনকে গুলি করে হত্যা করেন। একই দিন গোপালাশ্রম গ্রামের ধর বাড়ি ও ডাক্তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন।
“ওই দুই দিনই আসামি ও পাকসেনারা যৌথভাবে এ হামলা চালায়। এতে বহু নারী-পুরুষ-শিশু আহতও হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।”
তিনি জানান, সে সময় আহত হয়ে এখনও শরীরে গুলি রয়েছে রশিদা আক্তারের। তাকেসহ ৫০ জনকে মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে।
আসামি মহিউদ্দিন আহমেদ কেন্দুয়া উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি এবং কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য।