জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান জানান, মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ লাইন্স মাঠের পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাদের আটকের পর গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মাহবুব আলম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে বলেন, গ্রেপ্তার তাসরিফ আলম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র। তিনি বরিশাল সদর উপজেলার সামসুল আলমের ছেলে।
গ্রেপ্তার অন্য পাঁচজন হলেন - ইমরুল ইসলাম, শমসের আলী, পলাশ আহমেদ, সোহানুর রহমান ও রাসেল আহম্মেদ।
ইমরুল কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।
শমসের ঢাকা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার গোলাম মোস্তফার ছেলে।
পলাশ ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র। তিনি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দার রহমত আলীর ছেলে।
সোহান ঢাকার সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র। তিনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রহমত ইসলামের ছেলে।
রাসেল আনন্দমহন সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার মুখলেসুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ কর্মকর্তা মাহবুব বলেন, কনস্টেবল নিয়োগে পুলিশ লাইন্স মাঠে মঙ্গলবার লিখিত পরীক্ষা হয়। এতে শিবগঞ্জ উপজেলার ছয় প্রার্থীর হয়ে ওই ছয়জন অংশ নেন।
“তারা পুলিশ সুপারের স্বাক্ষর জাল ও প্রার্থীর ছবি পরিবর্তন করে পরীক্ষায় অংশ নেন। সন্দেহ হলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তারা অপরাধ স্বীকার করেন।”
সদর থানায় মামলা করার পর তাদের পুলিশে দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।