উপজেলার ত্রিবর্দী এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সোমবার বেলা সোয়া ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আর ছয়জন মারা যান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক একেএম নাসির উদ্দিন ও মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া।
নাসির উদ্দিন বলেন, দুর্ঘটনার পর আহত ২০ জনকে এখানে আনা হয়। তাদের মধ্যে দুইজনকে পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে গেছেন স্বজনরা।
তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১২ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর বলে তিনি জানান।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন চার নারী, চার পুরুষ, এক শিশু ও এক কিশোর।
তাদের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
তারা হলেন - ইয়াসিন (৩৮), হেনা আক্তার পপি (১৮), পপির ভাসুরের ছেলে রহিম (৬) ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের গোপাল সাহার ছেলে শুভ সাহা (১৬ )।
ওসি মোরশেদ আলম প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে বলেন, সিডিএম পরিবহনের একটি বাস চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে সামনের একটি লরিকে ধাক্কা দিলে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আহত ২০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর ছয়জনকে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একপাশ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আধা ঘণ্টা পরে পুলিশ গিয়ে রেকার দিয়ে বাসটি সরিয়ে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান ওসি মোরশেদ।