রোববার খুলনার মহানগর হাকিম মো. শাহীদুল ইসলাম বাদীর নারাজি আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন দাখিল করেন শাহজালালের মা রেনু বেগম।
বাদীর আইনজীবী বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার জেলা সমন্বয়কারী মোমিনুল ইসলাম জানান, পিবিআইর তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে বাদী আদালতে নারাজি আবেদন করেন। রোববার শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের জন্য কেএমপির গোয়েন্দা শাখার উপ-কমিশনারকে দায়িত্ব দিয়েছে।
মোমিনুল বলেন, পিবিআই পরিদর্শক মো. বাবলুর রহমান খানের দেওয়া অভিযোগপত্রে মামলার প্রধান আসামি খালিশপুর থানার সাবেক ওসি মো. নাসিম খানসহ অপর আসামি এএসআই রাসেল, এসআই তাপস কুমার পাল, এসআই মো. সেলিম মোল্লা, এসআই মো. মিজানুর রহমান, কনস্টেবল আল মামুন, আনসার সিপাহী মো. আফসার আলী, ল্যান্স নায়েক আবুল হাসেম, আনসার নায়েক রেজাউল হক, এসআই মো. নূর ইসলাম, এসআই সৈয়দ সাহেব আলী, সুমা আক্তার এবং মো. রাসেলের বিরুদ্ধেও অভিযোগের সত্যতা মেলেনি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
১১ পুলিশ ও আনসার কর্মকর্তাসহ ১৩ জনকে আসামি করে গত ৭ সেপ্টেম্বর খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আমলী আদালতে শাহজালালের মা রেনু বেগম মামলা করেন।
এজাহারে উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই রাতে শাহজালাল নগরীর নয়াবাটি রেললাইন বস্তি কলোনির শ্বশুর বাড়ি থেকে মেয়ের দুধ কেনার জন্য পাশের দোকানে যান।
এ সময় খালিশপুর থানার ওসি নাসিম খানের নির্দেশে তাকে থানায় ডেকে নেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা থানায় গেলে ওসি তাকে ছাড়ানোর জন্য দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। দাবি করা টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ কর্মকর্তারা শাহজালালকে পুলিশের গাড়িতে করে বাইরে নিয়ে যায়। পরদিন ১৯ জুলাই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তাকে দুটি চোখ উপড়ানো অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা।
তখন শাহজালাল বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে গোয়ালখালি হয়ে বিশ্ব রোডের খুলনা বাইপাস সড়কের নির্জন স্থানে নিয়ে হাত-পা চেপে এবং মুখের মধ্যে গামছা ঢুকিয়ে স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে।