রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বাউফল নবনির্মিত মডেল থানা ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের সমর্থকদের সঙ্গে পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকদের সংঘর্ষ ও ভাংচুরের এ ঘটনায় কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আহতদের মধ্যে খোকন সরদার ও কামাল হোসেনসহ চার যুবলীগ নেতাকর্মীকে চিকিৎসার জন্য বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান জানান, বাউফলে চিফ হুইপের সমর্থক এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ সময় থানা কমপ্লেক্সের মধ্যে সভাস্থলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। স্লোগানের এক পর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর মেয়র জুয়েল ও হুইপের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ওই সময় দায়িত্বরত পুলিশ তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে লাঠিপেটা করে।
পরে এক পক্ষ থানার বাইরে গিয়ে সভাস্থলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে সংঘর্ষ আরও ছড়িয়ে পড়ে। এতে কমপক্ষে ১০ নেতাকর্মী আহত হয়।
পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও চিফ হুইপ সভা মঞ্চে এসে আসন গ্রহণ করেন।
এ বিষয়ে দুই পক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।