ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় ঋষিপাড়ায় হামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক ঋষিপাড়ায় ভাংচুরসহ লুটপাটের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2018, 05:27 PM
Updated : 24 Feb 2018, 05:27 PM

জেলার কসবা উপজেলার রাউৎহাট গ্রামের জহরলাল ঋষির অভিযোগ, তার ছেলে হুমেন ঋষির বিয়ের বরযাত্রীরা রওনা হওয়ার পথে এক কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করেন একই গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে তপু (২২)। এর প্রতিবাদ করলে তপুর দলবল এসে ভাংচুরসহ লুটপাট করে।

ওই কিশোরী বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তপু আমাকে উত্ত্যক্ত করলে এর প্রতিবাদ করেন আমার ভাই। এ সময় তপুর সঙ্গে ভাইয়ের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ঝগড়া বেঁধে যায়। এরপর তপু কয়েকজনকে ফোন করেন।”

কিছুক্ষণ পর স্থানীয় মোখলেছ মিয়ার ছেলে রাব্বিসহ একদল তরুণ-যুবক এসে ঋষিপল্লিতে হামলা করে বলে হুমেন ঋষির অভিযোগ।

তিনি বলেন, “তারা একটি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। তারা আমার উপরও হামলা করে। তারা আমার গলায় থাকা বিয়ের এক ভরি ওজনের সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।”

এ ঘটনায় ঋষিপাড়ার পাঁচজন আহত হয় দাবি করে জহরলাল বলেন, তাদের মধ্যে রায়মন ঋষিকে (২৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ।

কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, জহরলাল ঋষি ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে মাসুক, জুয়েল ও তানভীর নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ঘটনার পর শনিবার সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মুনিরুজ্জামানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

মুনিরুজ্জামান গ্রামের মন্দিরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের অভয় দেন।

তিনি বলেন, “সন্ত্রাসীরা যত বড় শক্তিশালীই হোক না কেন, তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে।”

স্থানীয় সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সভায় যোগ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের অভয় দেন।

আইনমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত জহরলালকে দেওয়া হয় ৫০ হাজার টাকা।

জেলার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক ভূঁইয়া, আইনমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসিনা ইসলাম, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এমজি হাক্কানী, কসবা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার রায়, কসবা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সোলেমান খান ছিলেন।