শনিবার সকালে শহরের নিশ্চিতপুর এলাকার ‘দারুল উলুম ফয়েজ আম ক্বাওমী মাদ্রাসার’ শৌচাগার থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা।
নিহত আবু বক্কর (১৬) সদর উপজেলা জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপাড়া এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে। ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল সে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসা সুপারসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে দাবি করলেও পুলিশ বলছে হত্যাকাণ্ড।
মাদ্রাসার সুপার ইয়াসিন আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফজরের আজানের সময় বাথরুমের ভেতরে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। এরপর আমরা বাথরুমের কাছে গিয়ে দেখি দরজা ভেতর থেকে বন্ধ।”
পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে বলে জানান তিনি।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাদ্রাসার সুপার ইয়াসিন আলীসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আবু বক্করের সহপাঠী মনিরুল ইসলাম বলেন, “সন্ধ্যার দিকে আবু বক্কর মাদ্রাসার আসে। সে হাসিখুশি ছিল। রাতে সবাই একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ি।
“ফজরের আজানের সময় ঘুম থেকে উঠে দেখি আবু বক্কর বিছানায় নেই।”
তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শুক্রবার সকালে ছেলে বাসায় আসে। এরপর সন্ধ্যার আগে ২০০ টাকা নিয়ে মাদ্রাসায় চলে যায়। শনিবার সকালে জানতে পারি তার দগ্ধ লাশ পাওয়া গেছে।”
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে আবু বক্করকে হত্যা করা হয়েছে। লাশ বাথরুমের ভেতরে পাওয়া গেলেও হত্যাকাণ্ড সেখানে সংগঠিত নাও হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”