শুক্রবার সদর উপজেলার গোকুল মধ্যপাড়ায় এ সংঘর্ষ হয় বলে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল ইসলাম জানান।
নিহত সনি ইসলাম (২৩) গোকুল মধ্যপাড়ার জামায়াত আলীর ছেলে। তিনি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
আহতরা হলেন মিজান, হাকিম ও মিজানের স্ত্রী সালমা আক্তার ইশা। তাদের মধ্যে হাকিম ও সালমাকে শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মিজানকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় বাদিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, গোকুল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মিজানুর রহমানের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক বিপুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে এই বিরোধ।
তিনদিন আগে মিজানুর রহমানের সমর্থকরা বিপুল ইসলামের সমর্থক রাসেল নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মীকে মারধর করে বলে জানান রফিকুল।
“এর জের ধরে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বিপুল ইসলাম তার সমর্থকদের নিয়ে মিজানের বাড়িতে হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়।”
রফিকুল বলেন, প্রায় আধাঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে মিজান, সনি, হাকিম ও মিজানের স্ত্রী সালমা আক্তার ইশা আহত হন। এদের মধ্যে সনিকে ছুরিকাহত হন। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে বিপুল তার দলবল নিয়ে চলে যায়।
পরিদর্শক কামরুল জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায় এবং আহতদের উদ্ধার করে শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
“আহতদের মধ্যে সনি ইসলাম বিকাল পৌনে ৪টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।”
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় মিজানকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান পরিদর্শক কামরুল।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শাহ মেহেদী হাসান হিমু বলেন, মিজান ও বিপুল দুজনেই স্বেচ্ছাসেবক দলের সক্রিয় নেতা। তারা সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে একাধিক মামলার শিকার হয়ে কারাবরণ করেছেন।
“পরে জামিনে বের হলে তাদের মধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতারা উস্কানি দিয়ে দ্বন্দ্ব তৈরি করে। এর জের ধরে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।”